জুম চাষের নামে যখন পাহাড়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তখন পরিবেশবাদীরা কোথায় থাকে?

0

সুরেশ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম।


জুম চাষের নামে হাজার হাজার একর পাহাড় যখন ধ্বংস করে তখন তা নিয়ে সুশীল, জ্ঞানপাপী ও পরিবেশবাদীরা কিছু বলে না! হাজার হাজার একর পাহাড় আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ের মাত্র ২০ একর ভুমির উপর পর্যাটন বিকাশের প্রজেক্টকে কেন্দ্র করে জাতি সংস্কৃতি, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ ধ্বংসের অজুহাত দাঁড় করাচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা! সত্যি এটা খুবই দুঃখজনক। আর যখন জুুুম চাষের জন্য পাহাড় নেড়া করা হয় তখন তারা রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ থাকে! ২০ একর অনাবাদি তৃৃতীয়শ্রেণীভুক্ত পাহাড় জেলা পরিষদ হতে শিকদার গ্রুপ লিজ নেয় ৪০ বছরের জন্য। তা নেওয়ার সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত নিয়ম এবং পার্বত্য চুক্তির শর্ত মেনে জেলা পরিষদ থেকে নেয়া হয়। উক্ত ভূূমিতে ম্রোদের কোন প্রকার বসবাস নেই, তাদের মালিকানা প্রমাণপত্রও নেই, এটি সম্পূর্ণ সরকারী খাস ভূমি। এই ভূূমির আশেপাশে কোন প্রকার ম্রোদের বসতবাড়ি নেই। এখানে যে অভিযোগ করা হয়েছে ম্রোরা উচ্ছেদ হবে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার। বরং পর্যটন হোটেল-মোটেল নির্মাণ হলে স্থানীয় উপজাতিরা চাকরি-বাকরিতে সুযোগ-সুবিধাসহ জীবনমান পরিবর্তন হবে।

দুঃখ ও ক্ষোভ জমে এখানে, যখন বৌদ্ধ বিহারের নামে শতশত একর ভূমি দখল করা হয় তখন আজকে যারা সোচ্চার তারা কোথায় থাকে? খ্রিষ্টান মিশনারিরা ধর্মীও প্রতিষ্ঠান ও আশ্রমের নামে শতশত একর ভূমি দখল করে তা নিয়ে কারোরই মাথা ব্যাথা নেই! শুধু সেনাবাহিনী আর সরকার পাহাড়ে কিছু করলে তা নিয়ে তাদের চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়! সবকিছুতেই যারা বিরোধিতা করে তারা আসলে চায় কি?

আর যদি কিছু ম্রোরা সহ সন্ত্রাসীরা এই উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ করতে চাই তাহলে তারজন্য তারা সরকারের নিকট দারস্থ হতে পারে কিন্তু তারা তা না করে কেন বিদেশি এনজিও, কতিপয় মানবাধিকার সংস্থা ও তথাকথিত দাতাসংস্থা গুলোর দারস্থ হচ্ছে? প্রজেক্ট হচ্ছে সরকারের, আর সরকারের নির্দেশে সবকিছুই হচ্ছে, সরকারের দারস্থ না হয়ে তারা কেন ভিনদেশী শক্তিকে প্রাধান্য দিচ্ছে তা আমার বোধগম্য নয়।

মোদ্দাকথা হচ্ছে পাহাড় উন্নয়ন হলে সমতল হতে মানুষ পাহাড়ে যাতায়াত করবে এবং এর ফলে সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি বন্ধ হয়ে যাবে তারজন্যেই মূলত সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারের সবধরনের কাজের বিরোধিতা করে দেশবিদেশে একটি মিথ্যাচার রটিয়ে দিয়েছে। আর সন্ত্রাসীদের অন্তরালের বিষয়টি অনেকেই না জেনে অজ্ঞতাবশত সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ডে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে৷ আন্তজার্তিক ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠীও এই সুযোগ কাজে লাগাতে তৎপর। পাহাড় নিয়ে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের বিরোধিতা করা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ। তাই বলতে চাই ষড়যন্ত্র না করে এবং নিরিহ ম্রোদের উস্কানি না দিয়ে উক্ত প্রজেক্ট এর কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে সহযোগিতা করুন। এতে রাষ্ট্র ও স্থানীয় উপজাতীয় মানুষের ভাগ্য নির্ধারিত হবে।

আগের পোস্টযারা পাহাড়ে স্কুল কলেজের বিরোধিতা করেছিল তারা আবার স্কুল, কলেজ ও হাসপাতাল দাবি করে!
পরের পোস্টচিম্বুক পাহাড়ে পর্যটন বিকাশে বাঁধা সৃষ্টি করতে পরিকল্পিতভাবে হামলার চেষ্টা করা হয়।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন