যারা পাহাড়ে স্কুল কলেজের বিরোধিতা করেছিল তারা আবার স্কুল, কলেজ ও হাসপাতাল দাবি করে!

0

হান্নান সরকার, পার্বত্য চট্টগ্রাম


সেদিন ২০১৫ সালে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ বিরোধিতা কারা করেছিল ? যারাই বিরোধিতা করেছিল তারাই আজ আবার দাবি করছে পর্যটন না করে পাহাড়ে স্কুল কলেজ স্থাপন করার জন্য! পাহাড়ে জনসংখ্যা অনুপাতে যে পরিমাণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে তা দেশের আর অন্য কোথাও নেই৷ বাস্তবে কি তারা পাহাড়ে স্কুল কলেজ, নির্মাণ চাই? প্রসঙ্গ টেনে বলতে চাই: পাহাড়ে
রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ ও মেডিকেল কলেজ সহ পাহাড়ে জীবনমান উন্নয়নের সব কাজের বিরোধিতা করার মূল কারণ হল: পাহাড় উন্নত হলে এখানে মানুষের আধিপত্য বৃদ্ধি পাবে, তখন সন্ত্রাসীদের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে৷ তাই সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বিরোধিতা করে। তারা প্রকৃত পক্ষে পাহাড়ে স্কুল বলেন আর মেডিকেল কলেজ বলেন তারা এখানে কিছুই চায় না। তারা চলমান কাজে বাধা সৃষ্টি করতে এই দাবিগুলো সামনে নিয়ে এসেছে। সেদিন তারা রাঙামাটি বনরুপা বাজারে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের বিরোধিতা করে নানিয়ারচরের নির্মাণ শ্রমিক মনিরকে নির্মমভাবে পিটিয়ে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দেয়। ২১ দিন চিকিৎসারত থেকে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। সে ইতিহাস আমরা ভূলে যায়নি। আজ আবার তারা নাকি দাবি করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের! এটা যেমন হাস্যকর তেমন তাদের ভাঁওতাবাজির বহিঃপ্রকাশ। এখন যখন পর্যাটন শিল্প বিকাশের কাজ করছে সরকার, তখনই তারা এটার বিরোধীতা করে ‘স্কুল, কলেজ স্থাপনের দাবি তুললো’ অথচ তারাই আবার রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের বিরোধিতা করেছিল! হাজার হাজার একর অনাবাদি, আবাদি ভূমি পরে রয়েছে তা নিয়ে তারা কিছু করুক সমস্যা নেই। এত ভূমি থাকার স্বত্বেও তারা ২০ একরের প্রজেক্টের স্থানে স্কুল, কলেজ করার দাবি তুলছে কেন? এর পেছনের কারণ কি? ২০ একর ভূমি নিয়ে তাদের এত মাথা ব্যাথা কেন? মাত্র ২০ একর ভূমিতে এমন কি আছে? অথচ এই ভূমির স্থানে মানুষের বসবাসও অনুপোযোগী!

আগের পোস্টপাভেল পার্থ নামের কথিত লেখক চিম্বুক পাহাড়ে ৫ তারকা হোটেল নির্মাণ নিয়ে খোড়া যুক্তি দিয়েছেন!
পরের পোস্টজুম চাষের নামে যখন পাহাড়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তখন পরিবেশবাদীরা কোথায় থাকে?

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন