দেবাশীষ রায়
দেবাশীষ রায় (জন্ম: ৯ এপ্রিল ১৯৫৯ ) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী।[১] তিনি জাতিসংঘের স্থায়ী ফোরামে আদিবাসী বিষয়ক সাবেক সদস্য। তিনি বর্তমান বাংলাদেশেরবৃহত্তম উপজাতি সম্প্রদায় চাকমা সার্কেলের রাজা।[২]
দেবাশীষ রায় | |
---|---|
রাজা | |
চাকমা সার্কেলের রাজা | |
কার্যকালে | ১৯৭১; ৫০ বছর আগে |
পূর্বসূরি | ত্রিদিব রায় |
জন্ম | ৯ এপ্রিল ১৯৫৯(বয়স ৬১) |
সঙ্গী | তাতু রায়ইয়ান ইয়ান |
বংশধর | ত্রিভুবন আর্যদেব রায়আয়েত্রী আরাধন রায়যোদ্ধা দেবায়ন রায় |
পিতা | ত্রিদিব রায় |
মাতা | আরোতি রায় |
ধর্ম | থেরবাদ |
পেশা | রাজনীতিবিদ, আইনজীবি, মানবাধিকারকর্মী |
কর্মজীবনসম্পাদনা
দেবাশীষ রায় পেশায় একজন ব্যারিস্টার। তিনি ২০০৬-২০০৮ বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের সময় একজন মন্ত্রীর পদমর্যাদার অধিকারী হিসেবে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।[৩]
১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তাঁর বাবা ত্রিদিব রায় নির্বাসনে গেলে রায় চাকমা সার্কেলের রাজা হন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে রাজা ত্রিদিব রায় পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ত্রিদেব রায় পূর্ব পাকিস্তান থেকে নির্বাচিত অ-আওয়ামী লীগের ২ জন প্রার্থীর একজন ছিলেন। প্রাক্তন রাজা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলেন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শেষে তিনি রাঙ্গামাটি ছেড়ে পাকিস্তানে পালিয়ে যান। তবে রানী ও যুবরাজ সহ রাজপরিবারের বেশিরভাগ সদস্য রাঙ্গামাটি প্রাসাদে ছিলেন। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পরে, পিতার অনুপস্থিতির কারণে যুবরাজ দেবাশীষ রায় নিজেকে রাজা ঘোষণা করেছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনসম্পাদনা
তিনি তাতু রায়কে বিয়ে করেছিলেন যিনি ১৯৯৯ সালে মারা যান। এই দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে, ত্রিভুবন আর্যদেব রায় (১৯৯০) নামে এক পুত্র এবং আয়েত্রি আরাধন রায় (১৯৯৪) নামে এক কন্যা। তাঁর পুত্র ২০০৩ সালে যুবরাজ হন। ৪ জুলাই ২০১৪ সালে দেবাশীষ রায় স্থপতি এবং আদিবাসী সমাজকর্মী ইয়ান ইয়ান নামে এক জাতিগত রাখাইনকে বিয়ে করেছিলেন। এই দম্পতির যোদ্ধা দেবায়ন রায় নামে এক পুত্র রয়েছে।
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্য সূত্র, উইকিপিডিয়া