পাহাড়ের উন্নয়ন এবং মানবিক সহায়তায় সর্বদা নিবেদিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

0

হিল ব্লগার ফোরাম

পর্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি শৃঙ্খলা, এবং নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক এবং মানবিক উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অসামান্য অবদান রেখে যাচ্ছে।
পাহাড়ে যেখানেই মানবতা ভূলুণ্ঠিত সেখানেই সেনাবাহিনীর সার্বিক সহযোগীতা মানুষকে আনন্দিত করছে।
যারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে না বললে পেটের ভাত হজম হয়না তারাও নির্দ্বিধায় স্বীকার করেন পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে সেনাবাহিনীর অবদান অবিস্মরণীয়।
উদাহরণ স্বরূপ বলতে পারি পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসীদের গডফাদার শন্তু লারমা ৯ জানুয়ারী ২০১৬ সালে রাঙামাটির চিং হ্লা মং চৌধুরী স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানে বলেন, পাহাড়ে ক্রীড়ার উন্নয়নে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
গত ১২ ই মে ২০১৯ সালে রাঙামাটির সাজেক থানায় পণবিকাশ ত্রিপুরা নামের এক কিশোর বুনো হাতির আক্রমনে ক্ষত বিক্ষত হয়।
সেনাবাহিনী বিষয়টি অবগত হলে দ্রূত চিকিৎসার জন্য হেলিকাপ্টার যোগে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানোর ব্যাবস্থা করে।
পাহাড়ে সেনাবাহিনী কর্তৃক এরুপ শত শত মানবিক সহায়তার উদাহরণ দেয়া যাবে।
২০১৭ সালে রাঙামাটিতে পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সবচেয়ে বেশি সহায়তা প্রদান করেছে সেনাবাহিনী।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর উন্নয়ন এবং মানবিক সহায়তার দৃশ্যমান কয়েকটি পদক্ষেপের অন্যতম হল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়ণ, বনজ সম্পদ উন্নয়ন, শিক্ষা, চিকিৎসা ও ক্রীড়া খাতে উন্নয়ন ইত্যাদি।
দুর্গম এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক অসংখ্য স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সেনাবাহিনীর এসব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে পাহাড়ের মানুষেরা শিক্ষা, চিকিৎসার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও দ্রুতগতিতে স্বাবলম্বী হচ্ছে।

সরকারের কাছে পাহাড়ের গণমানুষের দাবি হল আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি রক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্প গুলো পুনঃস্থাপন করা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More