মোমিনুল হক, বান্দরবান
পার্বত্য চট্টগ্রামে গুম, খুন অপহরণ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে বান্দরবানের ১নং রাজভিলা ইউনিয়নের তাইনখালি সঃ প্রঃ বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর এরুপ অভিযানকে বিতর্কিত করার লক্ষে উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের কমন কাজ হচ্ছে নারীদেরকে ব্যবহার করা। তাইনখালিতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
জে এস এস সহ উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠন গুলো গুজব ছড়াচ্ছে তাইনখালি বাজার পাড়ায় নাকি ২৩ বছর বয়সি এক মারমা মেয়েকে একা পেয়ে সেনা এক সদস্য তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছে!!
বাস্তবতা হচ্ছে, যেটা সরেজমিনে ঘুরে জানা যায় তা হল: উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা রাজভিলা ইউনিয়নে পার্বত্য চট্টগ্রামকে জুম্মল্যান্ড রাষ্ট্র গঠন বিষয়ে গোপন মিটিংয়ের আয়োজন করেছিল। এবং ২০২০ সালে বান্দরবান জেলায় যে, চাঁদা কালেকশন করেছিল তা সশস্ত্র সদস্যদের মাঝে বন্টন এবং এবং ২১ সালের করণীয় সম্পর্কে গোপন বৈঠক হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সন্ত্রাসীরা।
সেনাবাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ করে তাদের গোপন বৈঠক ভেস্তে যায়। তাই সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতে মরিয়া হয়ে নারীদেরকে লেলিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
নারীদেরকে লেলিয়ে দিয়েই তারা ক্ষান্ত হয়নি আজকে সকালে অতর্কিতভাবে সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালিয়ে সেবাবাহিনীর জিপ গাড়ির ইউন শেড ভেঙে দেয়।
সন্ত্রাসীরা কতটা ভয়ঙ্কর হলে দেশে সশস্ত্র বাহিনীর গাড়ির উপর হামলা করতে পারে?? সেনাবাহিনীর অভিযান ঠেকাতে সন্ত্রাসীরা দা, লাঠি সোটা সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা পরিচালনা করে।
সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্য হচ্ছে অতর্কিত হামলা এবং নারীদের লেলিয়ে দিয়ে সেনাবাহিনীকে উত্তেজিত করা।
কিন্তু সেনাবাহিনী তাদের এরূপ চক্রান্তে উত্তেজিত না হয়ে অত্যন্ত ধৈর্য এবং কৌশলে তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের বলতে চাই সেনাবাহিনীর এই ধৈর্যধারণকে দুর্বলতা মনে করবেন না।
ইউ এন মিশনে আমাদের সেনাবাহিনী দেখিয়ে দিচ্ছে সন্ত্রাসীদের কিভাবে শায়েস্তা করতে হয়।
উপজাতি সন্ত্রাসীদের বলতে চাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপর আর যদি কখনো অপবাদ দেয়া হয় এবং হামলার দুঃসাহস দেখানো হয় তাহলে পাহাড়ের সর্বস্তরের জনগণ আপনাদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলবে।