বান্দরবানে ভূমি দখলের ধুয়ো তুলে সাধারণ ম্রোদের ইন্ধন দিয়ে রাস্তায় নামাচ্ছে কারা?

0
102

|হান্নান সরকার|

বান্দরবানে ভূমি দখলের ধুয়ো তুলে সাধারণ ম্রোদের ইন্ধন দিয়ে রাস্তায় নামাচ্ছে কারা- তাদের অতিশীঘ্রই চিহ্নিত করা উচিত। সম্প্রীতি বিনষ্টকারী চাঁদাবাজ, অস্ত্রবাজরা প্রায়শই সাধারণ উপজাতীয়দের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নিজেদের ফায়দা লুটে নিচ্ছে! শান্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত করার লক্ষ্যে বান্দরবানে ভূমি দখলের ধুয়ো তুলে কালচারাল শোডাউন নামে বিকৃত প্রতিবাদ করেছে! ম্রোদের ভূমি দখল করে সেনা কল্যাণ ট্রাস্ট ও সিকদার গ্রুপ পর্যাটন স্পট, এমিউজম্যান্ট পার্ক ও ম্যারিয়ট হোটেল নির্মাণ করছে, এধরণের প্রচার-প্রচারণাটি সম্পূর্ণভাবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সিকদার গ্রুপ কর্তৃক যে প্রকল্প গুলো হাতে নেওয়া হয়েছে সে প্রকল্প গুলোর স্থানের ভূমির প্রকৃত মালিক ম্রো জনজাতি নয়। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া চিম্বুক পাহাড় ম্রোদের দাবি করতে বাধ্য করছে দেশদ্রোহী বিশ্বাসঘাতক উপজাতীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। পার্শ্ববর্তী বার্মার চম্পক নগর হতে বিতাড়িত হইয়ে এদেশে আশ্রয়ে এসে প্রথাগত নিয়মে পার্বত্য চট্টগ্রামের সবধরনের ভূমির মালিক উপজাতিরা! বাহ বাহ কি দারুণ পদ্ধতি! সভ্যতার ছোঁয়াই এসেও মাগনা সমীকরণ তৈরি করে সবধরনের ভূমির মালিক হয়ে যাওয়া কি শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্দমান? দখল ও বসতি স্থাপন ছাড়া এমনকি বৈধ কাগজপত্র ছাড়া সবধরনের ভূমির মালিক দাবি করা অযৌক্তিক ও হাস্যকর নয় কি? ১৯৯০ সালে সেনাবাহিনী প্রশিক্ষণ শিবিরের জন্য যে ভূমি অধিগ্রহণ করেছে তা কারোরই রেকর্ডীয় সম্পত্তি না। পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল নয় যে রাষ্ট্র ভূমি অধিগ্রহণ করতে দ্বিতীয় পক্ষের অনুমোদন বা লিজ নেওয়ার পরেও তৃতীয় পক্ষের অনুমোদন নিবে! সংবিধান ও দেশের প্রচলিত ভূমি আইন অনুযায়ী রাষ্ট্র তার প্রয়োজনে যে কোন ভূমি অধিগ্রহণ করার ক্ষমতা রাখে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পরোক্ষও প্রত্যক্ষ ইন্ধনে সহজসরল ম্রোদের হুমকি দিয়ে ভূমি দখলের ধুয়ো তুলে রাস্তায় নামিয়েছে। চিম্বুক পাহাড়ের ভূমির মালিকানার প্রকৃত বাস্তব তথ্য আড়াল করে মিথ্যা, বানোয়াট বিকৃত চিন্তার তথ্য উপস্থাপন করে সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প বাধাপ্রাপ্ত করার অংশ হিসেবে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে! চলমান প্রকল্পের কাজে বাধা সৃষ্টি করতে কোমর বেঁধে নেমেছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। যাতে প্রকল্পটির অসমাপ্ত কাজ থেমে যায়!! যখন খৃষ্টান মিশনারীরা শতশত একর ভূমি দখল করে গির্জা স্থাপন ও আশ্রম করে তখন মুখে কুলুপ এঁটে থাকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সহ কতিপয়তন্ত্রের নিকৃষ্টতর জীব গুলো। বিপত্তি সৃষ্টি হয় তখন, যখন মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং পর্যটন শিল্পের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়! যারা উন্নয়ন কাজে বাধা প্রদান করে তাদের চিহ্নিতকরণ সময়ের দাবি।

আগের পোস্টম্রোদের কথিত উচ্ছেদের নিন্দা জানিয়েছে সাম্প্রদায়িক বীজ বপণকারী সংসদীয় ককাস!
পরের পোস্টআদিবাসী স্বীকৃতি নিয়ে ডক্টর তৌহিন মালিকের মন্তব্য সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক ও আত্মঘাতি

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন