যে অঞ্চলে সরকারী কাঠামো নির্মাণে চাঁদা দিতে হয় সে অঞ্চলে সেনা ছাড়া পুলিশকে বিকল্প ভাবা হাস্যকর!

0

পাহাড়ে যেখানে হাঁস, মুরগী, গরু-ছাগল, আনারস, কাঁঠাল আদা, হলুদ ও নিত্য প্রয়োজনীয় সবকিছুতেই চাঁদা দিতে হয় সন্ত্রাসীদের, সেখানে প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্প গুলোতে পুলিশ দেওয়ার পরিকল্পনা হাস্যকর! সরকারি অবকাঠামো নির্মাণে যে অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিতে হয় সে অঞ্চলে সেনাবাহিনী পুনঃস্থাপন না করে পুলিশ দেওয়ার পরিকল্পনা রাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক ভুল।

পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনো সেনা, বাঙ্গালী ও সাধারণ উপজাতিদের উপর প্রকাশ্যে হামলা হয়। এমন ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদ এলাকায় সামরিক বাহিনী ব্যতীত পুলিশ দিয়ে এখানকার দেশদ্রোহী বিশ্বাসঘাতক বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের দমন করা কখনোই সম্ভব না।

পার্বত্য ইতিহাসে এমন কোন নজির নেই, যেখানে পুলিশ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির স্থান হতে সেনাবাহিনী ছাড়া লাশ উদ্ধার করতে পেরেছে। কিংবা অপরাধী ধরতে পেরেছে৷ বাংলাদেশ পুলিশ কোনভাবেই পাহাড়ের জন্য উপযোগী নয়।

মামলার পরোয়ানা ভুক্ত হাজার হাজার উপজাতি সন্ত্রাসী পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়ে গেছে, এখন যদি সেনাক্যাম্পের স্থলে পুলিশ ক্যাম্প দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয় তাহলে ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকা সন্ত্রাসীরা কতটা ভয়ানক হিসেবে পাহাড়ে মানুষের জন্য আবির্ভাব হবে তা অকল্পনীয়।

প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্প গুলোতে সেনা ক্যাম্প পুনঃস্থাপন করা হোক। এখানকার উপজাতি বাঙ্গালীরা সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি৷ মোটা অংকের চাঁদার টাকার জন্য অপহরণ, খুন-গুম ও ধর্ষণ পাহাড়ের নিত্য দিনের ঘটনা। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ দেওয়া এ অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রসহ ২০ হাজার বিচ্ছিন্নতাবাদী রয়েছে৷ এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদেরকে কোনভাবেই এদেশের পুলিশের পক্ষে দমন করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ পুলিশ সম্পর্কে আমাদের পার্বত্যবাসীর নূন্যতম ধারণা রয়েছে৷ এদেশের পুলিশ আধুনিক বিশ্বের মতো বিশ্বমানের পুলিশ নয়। এ দেশের পুলিশ, একটি চাঁদাবাজির রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে পুরো গ্রামবাসীকে হয়রানি করে। তল্লাশির নামে সেনা কর্মকর্তাকে গুলি করে মারে। তল্লাশির নামে ইয়াবা গুঁজে দেয়। নারীরা ধর্ষণের শিকার হয়ে প্রতিকার চাইতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধর্ষিত হয়। মামলার চার্জশিট হতে অপরাধী বাদ দিয়ে সাধারণ মানুষকে জেলে ঢুকিয়ে দেয়। সকাল সন্ধ্যা সংবাদমাধ্যমে চোখ বুলালে পুলিশের জঘন্য অপরাধ গুলো দেখা যায়। আমি আবার সব পুলিশকেও খারাপ বলেছি না, তবে এদেশের ৯০% পুলিশ বিবেকবোধ হীন, অদক্ষ লোভী পাপিষ্ঠ শ্রেণীর। ১০ ভাগ পুলিশ ভালো, কিন্তু তাদের পক্ষে সমস্ত দেশ পরিচালনা করা সম্ভব নয়। আর এ পুলিশের হাতে পাহাড় রক্ষার দায়িত্ব তুলে দিলে অচিরেই পাহাড় সন্ত্রাসীদের নিরাপদ ভূমি হবে। রাষ্ট্র হারাবে তার এক-দশমাংশ। আমাদের পুলিশের প্রশিক্ষণ, দক্ষতা খুবই নিন্মমানের। এ অবস্থা তাদের পক্ষে পার্বত্য অশান্ত পরিস্থিতি এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সম্ভব নয়। আগে পুলিশকে আধুনিক ও সৎ আদর্শ হিসেবে সরকার গড়ে তুলুক তার পর না হয় পাহাড়ে সেনাবাহিনীর পরিবর্তে পুলিশকে বিবেচনা করবে।

কিছু তথ্য জেনে রাখা ভালো।
এদেশের পুলিশ পার্বত্য চট্টগ্রামে পশ্চিমা আগ্রাসন এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে মোকাবেলা করার কল্পনা করা আর বালুর চরে চাষাবাদ করা সমান! পার্বত্য চট্টগ্রাম এদেশের সমতল ভূমির মত এলাকা নয় যে, সমতলের বিএনপি, জামাত-শিবিরের মতো একনিমিষেই সব নিধন করে দিবে। এখানকার পরিস্থিতি জানতে এবং বুঝতে হলে পুলিশকে এ সম্পূর্ণ ঢেলে সাজাতে হবে এবং সেনাবাহিনীর মতো প্রশিক্ষিত হতে হবে। আমি পুলিশ বিরোধী নই, বরং পার্বত্য পরিস্থিতি না জেনে করা পরিকল্পনার বিরোধী। পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসীদের চরম বাস্তবতার প্রেক্ষিতে বললাম যে, পুলিশ পাহাড়ের জন্য উপযোগী নয়৷
২০১৮ সালে রাঙ্গামাটি নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমাকে কিন্তু উপজেলা পরিষদ এবং থানার সামনে এসে হত্যা করা হয়েছিল । সে বিষয়ে পুলিশ কি পদক্ষেপ নিয়েছিল?এবং কি করতে পেরেছিল? এর উত্তর গুলো কি কেউ দিবেন? নিঃসন্দেহে বলতে পারি এ উত্তর কারোরই নিকট নেই। রাঙ্গামাটিতে ৩ হাজারের অধিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে তারা কতটুকু পেরেছে সন্ত্রাস দমন করতে? শান্তি সম্প্রীতির জন্য নাকি পাহাড়ে মিশ্র পুলিশ প্রয়োজন, এখন তো পাহাড়ে অসংখ্য চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা পুলিশ দেখা যাচ্ছে তারা কি করছে! নাকি তারা রাষ্ট্রের গোপন তথ্য সন্ত্রাসীদের নিকট সরবরাহ করে আসছে। প্রতিদিনই তো চাঁদাবাজি, নির্যাতন নিপীড়ন অব্যাহত আছে, পুলিশের ভূমিকা কি? পার্বত্য নিয়ে ফাকা ফাকা বুলি ছড়িয়ে লাভ নেই। সত্য স্বীকার করুন এবং সত্যকে মেনে নিন। সেনাবাহিনী ছাড়া পার্বত্য পরিস্থিতি কারোরই অনুকূলে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। সেনাবাহিনীকে পূর্ণ ক্ষমতাদিক, দেখবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ৬ মাসের মধ্যেই সব শিথিল।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি পার্বত্য চুক্তির পক্ষ সন্তু লারমার মধ্যকার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাংবাদিক ব্রিফিং করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্পগুলোতে পুলিশ স্থাপন করা হবে এমন পরিকল্পনা আছে আমাদের। এসব বিষয়ে সন্তু লারমার সঙ্গে কথা হয়েছে। তাকে আমি দাওয়াত করেছি, সে এসেছে। পার্বত্য চুক্তির কিছু ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে কিছু ধারা বাস্তবায়িত হয়নি তা নিয়ে সন্তু লারমা কথা বলেছেন। পার্বত্য বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী কেন সন্তু লারমাকে প্রশ্ন করেননি যে, পার্বত্য চুক্তির পরেও আপনার জেএসএস হাতে কেন অবৈধ অস্ত্র? এই প্রশ্ন কেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী করেননি? মন্ত্রী কি সন্তু লারমাকে ভয় পায়? চুক্তির বিষয়ে সন্তুর কথার উত্তর গুলো মন্ত্রীর দেওয়া উচিৎ ছিল।

মন্ত্রী আরো বলেন,
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে একজন উপ-সচিব পার্বত্য চট্টগ্রামে এসে স্থানীয় চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছেন পাহাড়ের নিরাপত্তা ও পরিস্থিতির উপর৷ ওই সচিব পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি তুলে ধরে কিছু সুপারিশ করেছিল। এর প্রেক্ষিতে পাহাড়ে সেনা ক্যাম্পের স্থলে পুলিশ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার!!
পাহাড়ের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ৯৬% উপজাতি, এখানকার নেতৃত্বের সিংহভাগই উপজাতি এবং সন্ত্রাসীদের এজেন্ট৷ তাদের মতামতের উপর ভিত্তি করে সেনাক্যাম্পের স্থলে পুলিশ ক্যাম্প দেওয়ার যৌক্তিকতা রাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক হুমকি।
এখন আমার প্রশ্ন হল, উপ-সচিব কি পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দা? তিনি এখানে এসে হঠাৎ একটা প্রতিবেদন দিল তার উপর ভিত্তি করে ঠিক হবে পাহাড়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা!! এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক করতে হলে ৩ টা বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
১. স্থানীয় উপজাতি-বাঙ্গালী এবং সেনা ও নির্বাহী প্রশাসন সহ স্থানীয় সর্বস্থরের সঙ্গে গোপনে প্রকাশ্যে কথা বলতে হবে।

২.বিগত বছর গুলোর পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসীদের রাষ্ট্র বিরোধী তৎপরতা, প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে অস্ত্রসংগ্রহ ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রে গোপন আশ্রয়স্থল গুলোও বিবেচনায় রাখতে হবে।

৩. মায়ানমার ও ভারতের সঙ্গে থাকা বাংলাদেশের অরক্ষিত সীমান্তে কাতাঁরের বেড়া সম্পূর্ণ কিনা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর নিরাপত্তা যথেষ্ট কিনা তাও দেখতে হবে।

এই ৩টি বিষয় না দেখে তড়িঘড়ি করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ভুলভাল পরিকল্পনা গ্রহণ, অতঃপর ১৯৯৭-এর বিতর্কিত অসাংবিধানিক পার্বত্য চুক্তির দিকে হাঁটার শামিল। চুক্তির ফলে দেশভাগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যেটা ১৯৯৭ পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে হয়েছিল৷ পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ভূল করলে চলবে না, এ অঞ্চল রাষ্ট্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানকার বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীঁ, প্রকৃতি ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এদেশের জন্য অপার সম্ভাবনাময় । বৈদেশিক অপশক্তি সবসময় পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্পদ ও এ অঞ্চলের মানুষদেরকে খ্রীষ্টান বানাতে নানান তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে এনজিও ও দাতাসংস্থা সহ বৈদেশিক কূটনীতিবিদরা পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার, অসাংবিধানিক পার্বত্য চুক্তির বাস্তবায়নের তাগিদ দিচ্ছে। উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলোকে অর্থবল দিয়ে রাষ্ট্র জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। বিষয়টি সরকার সহ সকলকেই বুঝতে হবে৷ এদেশের উপজাতিরা আমাদের শত্রু নয়। তারা সবাই খারাপ না, ২০ হাজার উপজাতি সন্ত্রাসীর জন্য সমগ্র উপজাতি আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার ১৯৯৭ সালে রাজনৈতিক সমাধানে হেটেও লাভ হয়নি৷ পার্বত্য চুক্তির মৌলিক শর্ত লঙ্ঘন করে এখনো উপজাতি সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে বিদ্যমান। এটা বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা নিতে হবে, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা সমাধান করতে হলে এখানে কাকে প্রয়োজন আর কাকে প্রয়োজন নেই।

আজ পরিকল্পনা হচ্ছে প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্প গুলোতে পুলিশ দেবার কথা, কাল পরিকল্পনা হবে পাহাড় হতে সেনাক্যাম্প সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে পুলিশ দেবার পরিকল্পনার কথা। এভাবে হলে অচিরেই পার্বত্য চট্টগ্রাম নিরাপত্তার সংকট তৈরি হবে। সেনা ব্যতীত পার্বত্য চট্টগ্রাম রক্ষা করা ও নিরাপত্তা তৈরি করা অন্য বাহিনীর উপর প্রত্যাশা করা বোকামিই। প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্পে সেনাদের পুনঃস্থাপন করা হোক, একবার যদি পুলিশ দেওয়া শুরু হয় তখন দেখা যাবে সন্ত্রাসীরা দাবি করবে বাকি সেনাক্যাম্প গুলো প্রত্যাহার করে পুলিশ দেওয়ার। তখন সরকার সেটাই করবে।

ইতোমধ্যে হয়তো অনেকেই ওয়াকিবহাল হয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের কথা। “উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলো বৈদেশিক অপশক্তির ইন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড হতে ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব তিমুর কিংবা দক্ষিণ সুদানের মত আলাদা স্বাধীন দেশ গঠন করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী ব্যবতীত অন্য কোন বাহিনীকে গুরুত্বপূর্ণ দেওয়া মানে সন্ত্রাসীদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হওয়ার মাঠ তৈরি করে দেওয়া।”

লেখক, হোসাইন মারুফ, বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি।লেখাটি সম্পূর্ণ লেখকের স্বাধীন মুক্তমতের বহিঃপ্রকাশ, এটা তার নিজেস্ব মতামত। এর সঙ্গে হিল নিউজ বিডি দায়ী নয়।

আগের পোস্টপ্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্পের স্থানে পুলিশ মোতায়েনের পরিকল্পনা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
পরের পোস্টভাল্লুকের আক্রমনের মৃত্যু গুহা থেকে বেঁচে আসা শিশু মঙ্গলিয় মুরং ও দাদা ইয়াংসাই মুরং আশঙ্কামুক্ত।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন