সমরে আমরা, শান্তিতে আমরা,সর্বত্র আমরা দেশের তরে- বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

0
673

||তাপস কুমার পাল||

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই নীতিবাক্যটির পূর্ণ বাস্তবায়ণ পুঙ্ক্ষানুপুঙ্ক্ষ উপলব্ধি করছে পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনসাধারণ।

বাক্যটির প্রথমেই রয়েছে সমরে আমরা অর্থাৎ যুদ্ধে আমরা।
আমরা সকলেই যানি পার্বত্য চট্টগ্রাম হচ্ছে বাংলাদেশের একটি যুদ্ধ কবলিত অঞ্চল। দেশদ্রোহী উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের ভায়াবহ আক্রমনে সর্বদা অতিষ্ঠ থাকে পাহাড়ি জনপদ।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জননিরাপত্তার স্বার্থে এবং দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের দমনে তাদের সাথে অসংখ্য বার যুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।সেই যুদ্ধে কুখ্যাত সন্ত্রাসী শন্তু লারমার বাহিনীর হাতে প্রায় ৪০ হাজার বাঙালি বেসামরিক লোক ও সেনাবাহিনীর অসংখ্য সদস্য শহীদ হয়।
সেনাবাহিনীর সাথে তথা সরকারের সাথে এই যুদ্ধে শন্তু লারমার কুখ্যাত বাহিনী যখন পরাজয় নিশ্চিত মনে করেছে তখন শান্তিচুক্তির মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে।
যুদ্ধ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রণকৌশলের মাধ্যমে উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের দমন করে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার মহা গৌরব অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

বাক্যটির দ্বীতিয়ে রয়েছে শান্তিতে আমরা।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বলা হয় শান্তির পায়রা। অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামকে শান্ত করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যেসব পদক্ষেপ গুলো আমার চোখে পড়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল :যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়ণ, বনজ সম্পদ উন্নয়ন, শিক্ষা, চিকিৎসা ও ক্রীড়া খাতে উন্নয়ন ইত্যাদি।
দুর্গম এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক অসংখ্য স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেনাবাহিনীর এসব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে পাহাড়ের মানুষেরা শিক্ষা, চিকিৎসার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও দ্রুতগতিতে স্বাবলম্বী হচ্ছে।

সর্বশেষে রয়েছে ‘সর্বত্র দেশের তরে’।
শান্তি, শৃংঙ্খলা, উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় সর্বত্র আমরা দেখি দেশের তরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে অস্ত্র হাতে ধরতে, আইন শূংঙ্খলায় জীবন বাজি রেখে লড়তে, শান্তি প্রিয় মানুষের পাশে গিয়ে দাড়াতে, দূর্গতদের পাশে গিয়ে হাত বাড়াতে,শান্তি মিশনে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলে দেশের সম্মান রক্ষার্থে,দেশের স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা জাগ্রত থাকতে,পার্বত্য এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে ও উপজাতি বাঙালির বৈষম্যের দ্বার ভাঙতে,ভেজাল বিরোধী আদালত গড়তে, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংগীকার পূরণ করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

আগের পোস্টঅস্থিত্ব সংকটে পাহাড়।
পরের পোস্টপাহাড়ে প্রকাশ্যে মানুষ হত্যাও চাঁদাবাজি হচ্ছে!তবুও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে অনিহা!

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন