ইউপিডিএফ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র একটি সংগঠন।

0
152

১৯৯৭ – এর পার্বত্য চুক্তির পর ১৯৯৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় এক কনফারেন্সের মাধ্যমে যার আত্মপ্রকাশ ঘটে। বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র এই সংগঠনটি জেএসএসের সাথে বাংলাদেশ সরকারের যে চুক্তি হয় তথা ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তির বিরোধিতা করেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
ইউপিডিএফের লক্ষ ও উদ্দেশ্য হল পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ সরকারের শাসন থেকে মুক্ত করে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত একটি অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা।
বিচ্ছিন্নতাবাদী এই সন্ত্রাসী সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষে কাজ করেছিল দেশের স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র এবং পিছনে মদতদাতা হিসেবে ছিল আন্তর্জাতিক কিছু কুচক্রী মহল।
উপজাতি সন্ত্রাসীদের এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হচ্ছে প্রসিত বিকাশ চাকমা এবং প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন, রবি সঙ্কর চাকমা।

সশস্ত্র এই সন্ত্রাসী সংগঠনটি বাম ধারায় পরিচালিত হওয়ার কথা থাকলেও তাদের মধ্যে সমাজতান্ত্রিক কোন মনোভাব লক্ষ করা যায়না।

চাঁদার টাকা ভাগাভাগি এবং অভ্যন্তরীণ নেতৃত্বের কোন্দলের কারণে ২০১৭ সালে সংগঠনটি ভেঙে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ বর্মা নামে আরেকটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

সশস্ত্র এই সন্ত্রাসী সংগঠনটির কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ সর্বদা যেসব সমস্যায় থাকে তার কয়েকটি চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

১. দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজি :
পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের মত ইউপিডিএফ-এর সাংগঠনটি আয়ের একমাত্র উৎস চাঁদাবাজি। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে চাদা উত্তোলন করে থাকে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপ। হাস-মুরগি, কাঁঠাল, কলা ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সমাজের সর্বোচ্চ পর্যায়ের লোকদের থেকে নিয়মিত মাসিক চাঁদা কালেকশন করে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা।

২. খুন-গুম ও অপহরণে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ :
ইউপিডিএফের খুন-গুম ও অপহরণের জন্য পাহাড়ের মানুষ সর্বদা আতঙ্কে থাকে।
চাঁদার টাকা দিতে যদি কেউ অস্বীকার করে কিংবা টাকা কম দেয়ার চেষ্টা করে তাহলে খুন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আর অনেক পর্যটক এবং ব্যবসায়ীদের অপহরণ কিংবা গুম করে চাঁদা দাবী করা ইউপিডিএফের দৈনন্দিন কাজে পরিণত হয়েছে।

৩. হুমকির মুখে দেশের স্বার্বভৌমত্বেঃ
বাংলাদেশ এককেন্দ্রিক স্বাধীন ও স্বার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে এখানে আঞ্চলিকতার কোন ভিত্তি নাই।
ইউপিডিএফ পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণ স্বায়ত্বশাসন দাবী করে বাংলাদেশের প্রতি তাদের যে শ্রদ্ধা সম্মান নেই তা পরিষ্কার করেছে। সুতরাং তাদের গতি রোধ করা যদি সম্ভব না হয় তাহলে দেশের স্বাধীনতা এবং স্বার্বভৌমত্ব মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়বে।

৪. ইউপিডিএফের নির্যাতনে বাকরুদ্ধ পাহাড়ের নারী সমাজ:
ইউপিডিএফের সশস্ত্র প্রশিক্ষণের কারনে অনেক কর্মী বিয়ে করে না, অনেকে বিয়ে করেও জঙ্গলে থাকার কারনে বউকে সময় দিতে পারে না।
তাই, যেদিন যে এলাকায় ডিউটি করে সেদিন সে এলাকার সুন্দরী নারীদের ধরে নিয়ে যায় ইউপিডিএফের ক্যাম্পে এবং সেই নারীদেরকে সবাই গণধর্ষণ করে।

ইউপিডিএফের মানবতাবিরোধী এবং দেশ বিরোধী কার্মকাণ্ড থেকে বাচার উপায়।

১. বাংলাদেশ সংবিধানে যেহেতু আঞ্চলিকতার স্থান নাই তাইইউপিডিএফ সহ পাহাড়ের সকল আঞ্চলিক তথাকথিত রাজনৈতিক দলসমূহ নিষিদ্ধ করতে হবে।

২. কোন প্রকার বিলম্ব না করে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি করতে হবে।

৩. সন্ত্রাস দমন, চাঁদাবাজি বন্ধ, এবং অবৈধ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে পার্বত্য অঞ্চলে সেনাবাহিনীকে বিষেশ ক্ষমতা প্রদান করতে হবে।

৪. পাহাড়ের যোগাযোগব্যবস্থা দ্রুত উন্নতি করতে হবে যাতে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে সহজ হয়।

৫. ইউপিডিএফ সহ সকল সন্ত্রাসীদের কুকর্ম জাতীর সামনে তুলে ধরতে সংবাদমাধ্যমগুলোর জোড়ালো পদক্ষেপ নিতে হবে।

আগের পোস্টদীঘিনালায় অস্ত্র ও চাঁদার টাকা সহ এক ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর হাতে আটক।
পরের পোস্টপার্বত্য সন্ত্রাসীদের লাগামহীন চাঁদাবাজি, হয়রানি নির্যাতন-নিপীড়ন খেটে খাওয়া মানুষ অতিষ্ঠ।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন