পার্বত্য চট্রগ্রামের অশান্তির নেপথ্যে রাণী ইয়েন ইয়েন!

0

 

ইয়েন ইয়েন চাকমা সার্কেল চিফ ও কথিত চাকমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়ের পত্নী। যদিও তিনি চাকমা নন, ভিনদেশীয় বার্মিজ রাখাইন সম্প্রদায়ভুক্ত ও পরবর্তীতে বান্দরবানের বাসিন্দা। পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটির সার্কেল চিফ ও কথিত চাকমা রাজা, আত্মস্বীকৃত স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার ও আদালত কর্তৃক প্রমাণিত যুদ্ধাপরাধী ত্রিদিব রায়ের পুত্র, রাঙামাটির বর্তমান সার্কেল চিফ দেবাশীষ রায়ের দ্বিতীয় রাণী হয়ে রাঙামাটিতে আগমনের পর হতেই ইয়েন ইয়েন-এর বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পার্বত্য রাঙামাটি অঞ্চলকে অশান্ত করে তোলার অভিযোগ উঠতে শুরু করে।

জানা যায়, চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়ের প্রথম রাণী তাতু রায় গুণে-মানে আচার-আচরণে অসাম্প্রদায়িক ও জাতিগত সম্প্রীতিতে আন্তরিক ও বিশ্বাসী হওয়ায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন।

কিন্তু বর্তমান দ্বিতীয় রাণী রানী ইয়েন ইয়েন- এর চারিত্রিক, নৈতিক ও জাতিগত মূল্যবোধের বৈপরীত্য ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে নিয়ে চাকমা সম্প্রদায় এমনকি রাজপরিবারেও যথেষ্ট অসন্তোষ রয়েছে।

চাকমা সমাজের নিয়ম অনুযায়ী চাকমা রাজপরিবারের কর্তা চাকমা মেয়ে ব্যতীত অন্য সম্প্রদায় বা জাতির মেয়েকে বিয়ে করার নিয়ম না থাকলেও চাকমা রাজা বার্মিজ রাখাইন মেয়ে বিয়ে করার কারণে চাকমা সম্প্রদায় মেনে নিতে পারেনি। পুরো চাকমা সমাজ চাকমা রাজার রানী ইয়েন ইয়েনকে জাতির জন্য অমঙ্গল হিসেবে আখ্যায়িত করে। রানীকে নিয়ে সকলে অসন্তুষ্ট ছিলো। তারপর থেকে বার্মিজ রাখাইন রানী ইয়েন ইয়েন কৌশলগতভাবে চাকমা জাতিকে খুশি করতে একের পর এক সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।

তাই আত্মস্বীকৃত যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকার পুত্র ত্রিদিব রায়ের পুত্র দেবাশীষ রায়ের বিতর্কিত ও দেশ-বিরোধী কর্মকাণ্ডের সাথে নিজেকে জড়িয়ে অধিক মাত্রায় বাঙালি ও রাষ্ট্র বিরোধী হয়ে পড়েন।

ইয়েন ইয়েন- এর ফেসবুক স্ট্যাটাস ঘেঁটে দেখা যায়, প্রায় প্রতিদিন তার ফেসবুকে বাঙ্গালী আর রাষ্ট্র বিরোধী স্ট্যাটাসে পূর্ণ থাকে। রাষ্ট্রীয় পতাকাকে অসম্মান করে চলে তার কার্যক্রম। পার্বত্যাঞ্চলের সব ঘটনাকেই রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক রঙ দিয়ে উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস ও বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও পার্বত্যাঞ্চলকে অশান্ত করে তোলার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায় প্রতিনিয়ত। এছাড়া পার্বত্য এলাকার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সাথেও তার যোগাযোগ ও পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ প্রমাণিত।

পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও গ্রুপকে সাধু বানানো, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে বিতর্ক সৃষ্টি, এবং পাহাড়ি-বাঙালী দাঙ্গাজনিত ঘটনাকে উস্কানি দিয়ে দেশ-বিদেশে অপপ্রচার করে দেশের সম্মানহানি করা ইয়েন ইয়েন-এর যেন দৈনন্দিন কাজে পরিণত হয়েছে।

তার এহেন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙালি এমনকি উপজাতীয় চাকমা সমাজও ক্ষুব্ধ। তাই জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে পাহাড়ের পরিস্থিতি অশান্ত করা ও দেশে-বিদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনে রাঙামাটির চাকমা রানী ইয়েন ইয়েন-এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে সচেতন মহল। অন্যথায় পরবর্তীতে তার লাগাম টেনে ধরাই মুশকিল হয়ে পড়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তারা।

 

 

 

 

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More