পাহাড়ি মেয়েদের উপর নির্যাতন,পাহাড়ে সম্প্রীতি নষ্টের মুল হোতা পাহাড়ি সন্ত্রাসী দলগুলো!

0

||অপূর্ব সাচিং, বান্দরবান||

পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি মেয়েরা মিশতে পারেনা কোনো বাঙালী ছেলে ও মেয়েদের
সাথে। পারেনা তাদের সাথে অবাধে চলাফেরা করতে। যদি কোন মেয়ে কারো সাথে মিশতে বা বন্ধুত্ব করতে দেখলে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা তাকে অত্যাচার করে কিংবা গণধর্ষণ পূর্বক হত্যা করে! এভাবে অনেক মেয়েরা তাদের হাতে প্রাণ দিতে হচ্ছে এবং তাদের অত্যচার ও নিযার্তনের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর কারণ হল যদি মেয়েরা বাঙ্গালী ছেলে মেয়েদের সাথে মিশে তাহলে তাদের সর্ম্পকে যর্থাথ জেনে যাবে এবং তাদের ঘৃনার চোখে দেখবে। তাই পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের যত ভয়ই! এ কারণে মেয়েদের অত্যাচার করে শতশত ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দেয়। যাতে কোন মেয়ে বাঙালি ছেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব বা সম্পর্ক না করে! অনলাইনে পাহাড়ি মেয়ে স্বজাতি কর্তৃক নির্যাতনের শিকার

এক পাহাড়ী মেয়ের আবেগঘন স্ট্যাটাস…
আমাদের একটাই প্রবলেম আমরা পাহাড়ি। তাই আমাদের কারও সাথে বন্ধুত্ব করার ইচ্ছা থেকেই যায়। আমাদের কি অধিকার নেই সমবয়সি কারও সাথে বন্ধুত্ব করার? এই অধিকার টা আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছে! আমাদের পাহাড়ী সন্ত্রাসী নামক জেএসএস ও ইউপিডিএফসহ অন্যান্য দলগুলো। আমাদের অনেক ইচ্ছ থাকলে ও আমাদের ইচ্ছটা আমরা পূরন করতে পারিনা। বন্ধুত্ব জিনিসটা কি বুজতে পারিনা। কোনো বাঙালি ছেলের সাথে কথা বলতে দেখলে ভাবে মেয়েরা খারাপ। কিন্তু কেন আমরা পারিনা বাঙালি ছেলে মেয়েদের দের সাথে বন্ধুত্ব করতে? কি এমন আছে বাঙালি ছেলে মেয়েদের মাঝে যে বন্ধুত্ব করলে খারাপ হয়ে গেলাম? সমাজে কি এমন নিয়ম! এই নিয়মটা কেউ মানছে আর কেউ মানছে না। যারা মানছে তারাই ভাল আর যারা মানছে না তারাই সমাজের চোখে খারাপ! তেমনি আমি মা বাবার একমাত্র মেয়ে। ভাইয়া আছে। আমার ভাইয়া খুব ভাল। আমাকে কোনোদিন কিছু বলেনা। আমার মা বাবার বিশ্বাস আমি এমন কোনো কাজ করব না যেটা মা বাবার মুখ পুড়া যাবে। তাই আমিও বাঙালি ছেলে ও মেয়েদের সাথে কথা বলিনা, এমনকি ক্লাসমেটদের সাথেও কথা বলিনা। কিন্তু আমার বান্ধবি সবাই বাঙালি, তার মাঝে আমি একজন পাহাড়ি ওরা দুষ্টমি করে বলতো একটাই পাহাড়ি ফুল! ১দিন রিমির জন্মদিনে আমাকে দাওয়াত দিল। আমি সকাল থেকে ওদের বাসায় ছিলাম। বিকেলে বের হলাম মার্কেটে যাওয়ার জন্য। মার্কেট করার আগে পার্কে গেলাম। ওখানে কয়েকটা ছেলে আমাদের ডাক দেয়। ওই ছেলেরা বাঙালি ছিল। আমরা দু’জন, রিমি শাড়ি পরছে, আর আমি থামি পরছিলাম (পাহাড়ি ড্রেস) ছেলেদের মধ্য কেউ একজন আমাদের ডাক দেয়, পরে রিমি গেল ওদের কাছে।রিমি’কে বল্ল আপনার বান্ধবী কে আমার সাথে একটা পিক তুলতে বলবেন?ওর ড্রেসে ওকে খুব মানিয়েছে তাই এদের সাথে কথা বল্লাম। এমনি সময় একজন পাহাড়ি ছেলে আমাকে দেখে দেখে রেগে আমার দিকে তাকাচ্ছে! আমি কোনাচোখে তার দিকে দেখলাম বুঝলাম সে কিছু বলতে চাচ্ছে তখন আমি বান্ধবীকে নিয়ে চলে আসলাম। সন্ধ্যায় বাড়ি গেলাম রাতে দেখি বেশ কয়েকটা উশৃংখল যুবক অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাসায় আসলো আর বাবা মা ভাই কে সহ আমাকে চার্জ করতে লাগলো যে বাঙ্গালীদের সাথে তোর কি সম্পর্ক? কিছু না বলতে আমাকে শাশাতে লাগলো আর চড় থাপ্পড়, লাথি মারতে থাকল! এবং পরিবারকে হুমকি দমকি দিয়ে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিল। কি এমন করলাম বুঝতে পারছিনা। এর পর এদের পরিচয় জানলাম। দেখলাম তারা পাহাড়ী সন্ত্রসী দলের লোক। এর পর থেকে এদের প্রতি প্রচন্ড ঘৃণা সৃষ্টি হল। এভাবে প্রতিনিয়ত আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে পাহাড়ে।

পাহাড়ে সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে পাহাড়ি সন্ত্রাসী দল গুলো। জাত গেল জাত গেল বলে বলে পাহাড়ি বাঙালিদের মধ্যে তফাৎ সৃষ্টি করে দিচ্ছে এ সন্ত্রাসীরাই! শান্তিপ্রিয় পাহাড় অশান্ত করছে। প্রতিনিয়ত মিথ্যা অভিযোগ তুলে পাহাড়ি মেয়েদের মধ্যযোগীয় কায়দায় নির্যাতন করছে৷ সভ্য সমাজে এটা কাম্য হতে পারে না। পাহাড়ে আমরা পাহাড়ি-বাঙালি সবাই মিলেমিশে থাকতে চাই। চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন-গুম, ধর্ষণ ও অস্ত্রবাজি যারা করে তাদের বর্জন করতে হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More