সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২ বাঙালি আহত, প্রশ্নবিদ্ধ পাহাড়ের নিরাপত্তা-সেনাক্যাম্প বৃদ্ধির দাবি।

0

||তাপস কুমার পাল, রাঙ্গামাটি||

চুক্তির মাধ্যমে পাহাড় থেকে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প তুলে নোয়ার পর থেকে পাহাড়ে গুপ্তহত্যা এবং গণহত্যা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাঁদার টাকা না দেয়ার অভিযোগে উপজাতি সন্ত্রাসীদের ধারাবাহিক হত্যাযজ্ঞের অংশ হিসেবে আজ শনিবার ২০ মার্চ বিকাল ৫ টায় বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে মো. মিজান (৩২) মুদি ব্যবসায়ী, ও মো. সাগর (গ্যাস ব্যবসায়ী)নামের দুই ব্যবসায়ীকে ব্রাশফায়ার করে হত্যার চেষ্টা করে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। সৃষ্টিকর্তার দয়া এবং করুণায় গুলিবিদ্ধ দুজন প্রাণে বেঁচে গেলেও ভবিষ্যতে তাদের জীবন শতভাগ হুমকির সম্মুখীন।

পার্বত্য চট্টগ্রামের পিছিয়ে পড়া বাঙালি জনগোষ্ঠীরা সামান্য ব্যবসা বাণিজ্য করেও টিকে থাকতে পারছেনা উপজাতি চাঁদাবাজদের কারনে।
একদিকে চাঁদাবাজি অন্যদিকে প্রাণনাশের আশঙ্কায় পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ দিশেহারা।
নিরাপত্তাহীনতার চরম বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে পার্বত্য বাঙালিদের।
এমতাবস্থায় প্রতিবারের মত সর্বমহলে আবারো দাবি উঠেছে পাহাড়ের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্প গুলো পুনরায় স্থাপন করতে হবে।

“পার্বত্য সচেতন নাগরিক সমাজের সাধারণ সম্পাদক জিহান মোবারক জানান, ১৯৯৭ – এর সাক্ষরিত পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের শর্ত অনুযায়ী সরকার পাহাড় হতে সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার শুরু করে। ২৩৯ টি সেনা ক্যাম্প ইতোমধ্যে প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। এরপর হতে পাহাড়ে বাঙালি ও সাধারণ উপজাতিদের উপর বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা হামলা ও চাঁদাবাজি অব্যাহত রয়েছে৷ বর্তমানে সন্ত্রাস থেকে বেছে থাকতে হলে পাহাড়ে সেনাক্যাম্প বৃদ্ধি করতে হবে৷ এছাড়া পাহাড়ের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না।”

পার্বত্য চট্টগ্রামে মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নিশ্চিত করতে সেনাক্যাম্পের বিকল্প নেই।
সেনাবাহিনীর সাথে সাথে ভিডিপি সদস্যদেরকে সামরিক প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করে পরিত্যাক্ত ক্যাম্প গুলো আবার চালু করা সময়ের অপরিহার্য দাবী।
সরকার যদি পাহাড়ের মানুষের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয় তাহলে অচিরেই সরকারের কন্ট্রোলের বাহিরে চলে যাবে উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা। সুতরাং এক্ষনি সময় পাহাড়ে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি করে সন্ত্রাসীদের শিকড় উপরে ফেলা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More