||বাপ্পি মজুমদার, কাপ্তাই||
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই উপজেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জেএসএস সন্তুুর সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, অপহরণ ও খুন-গুমে অতিষ্ঠ পাহাড়ি জনপদের মানুষ। মাসিক ও বাৎসরিক চাঁদার টোকেন সংগ্রহ না করলে পাহাড়ি-বাঙ্গালি কাউকে ব্যবসা- বাণিজ্য করতে দিচ্ছে না। যানবাহন গুলো চলাচলে বাৎসরিক ৭০০০ থেকে ১২০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। কেউ যদি সন্ত্রাসীদের কথার অবাধ্য হয়। তখন অপহরণ কিংবা গুলি করে হত্যা করা হয়। কাপ্তাই ইউপিডিএফ এবং জেএসএস সংস্কারের অস্তিত্ব না থাকায় এককভাবে আধিপত্য বিস্তার করে যাচ্ছে জেএসএস সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। কাপ্তাই সমগ্র কাপ্তাই সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে৷ সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসীদের ভয়ে নির্যাতনের ভয়াবহতা প্রকাশ করার সাহস পাচ্ছে না। প্রশাসনও সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে৷ সন্তু লারমার জেএসএস সন্ত্রাসীরা কাপ্তাই উপজেলাকে নিজেদের সাংগঠনিক তৎপরতা পরিচালনার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ উপযোগী স্থান মনে করে। মগ লিবারেশন আর্মি (MLP) সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন অজুহাতে জেএসএস গতবছর কাপ্তাই বেশকয়েকজন মারমা নেতাকে হত্যা করে। আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এইরকম কয়জন নেতাকেও হত্যা করে জেএসএস। হত্যাকান্ড গুলোর জন্য সরাসরি আওয়ামীলীগ জেএসএস সন্তুকে দায়ী করেন। এর জন্য রাঙামাটি শহরে এবং কাপ্তাইে পৃথক পৃথকভাবে জেএসএসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামীলীগ।
পাহাড়ি গ্রাম গুলোতে অবৈধ অস্ত্রধারীদের সামরিক পোষাকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে টহল দিতে দেখা যায়। একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশে এভাবে অস্ত্রধারী দাপুটের সাথে ঘুরে বেড়ানো সত্যি দুঃখজনক। গত ২০১৭ সালে আমরা বান্দরবান লামায় দেখেছিলাম উপজাতি সন্ত্রাসীরা দিনে-দুপুরে সশস্ত্র অবস্থায় বাঙ্গালি এলাকায় প্রবেশ করে চাঁদাবাজি করার জন্য হুমকি ও ভাংচুর চালায়। যেটা গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে সরকারকে ভেবে দেখার সময় এখন। এখন যদি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার ব্যর্থ হয় অচিরেই সন্ত্রাসীরা আরো মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে।