||ফিরোজ মাহমুদ, খাগড়াছড়ি||
উপজাতীয় সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা তবলছড়ি ও তাইন্দং লাইফু পাড়া ও পংবাড়ী, শুকনাছড়ি এলাকায় বাঙ্গালি বাড়িতে এসে বাঙ্গালিদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছে এই খবরটি শুনে হাজার হাজার লোকজন আটক বাঙ্গালীদের উদ্ধার করার জন্য যাচ্ছে। প্রতিবাদে বিক্ষোভ হচ্ছে তাইন্দং এলাকায়।
গতকাল ৪ এপ্রিল থেকে আজ দুইদিন ধরে সন্ত্রাসীরা বারবার লাইফু পাড়া ও পংবাড়ী এলাকায় অবস্থান নিয়ে বাঙ্গালিদের উপর হামলা করছে। ১৫/২০ জন বাঙ্গালি আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ পর্যন্ত বাঙ্গালি হয়েছে। গতকাল সকাল ১০ টা থেকে হামলা শুরু করে ৪ ঘন্টা ধরে ইউপিডিএফ হামলা চালায়। চাঁদার টাকা না পেয়ে আর বাঙ্গালিদের উক্ত এলাকা থেকে চলে যেতে হামলা চালায়। বাঙ্গালি দখলীকৃত এবং কাগজপত্রের ভূমিতে চাষাবাদ না করে কেন বাঙ্গালি সে জায়গা ছেড়ে যাবে? আজ ৫ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে আবার হামলা চালায় এবং সশস্ত্র মহড়া দেয় গতকালকের স্থানে এসে। রাত ৯টা হতে আবার সরাসরি বাঙ্গালিদের ঘরবাড়িতে এসে হামলা চালাচ্ছে! কমপক্ষে ১০০০ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনায় প্রশাসন কি ভূমিকা নিয়েছে? এখনও আবার সন্ত্রাসীরা বাঙ্গালি বাড়িতে এসে হামলা করছে এবং বাঙ্গালিদের ঘর থেকে বাহির করে দিচ্ছে প্রশাসন কি করে? তারা কেন সম্পূর্ণ ঘটনাটি নিয়ে নিশ্চুপ? ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে ইউপিডিএফকে দমন করার জন্য তাদের সমর্থিত ২/৩ জন জনপ্রতিনিধি ধরে এনে বসিয়ে রাখলে হয়। সেটা যদি সম্ভব না হয় তাহলে ওই এলাকার হেডম্যান- কার্বারীকে প্রশাসন ডেকে এনে কিছু বলে দিলে তো হয়ে যায়। এতটুকুতেই ঘটনা সমাপ্ত হয়ে যায়। প্রশাসনের নতজানু নীতি আর রহস্যজনক ভাবে নীরবতা কিন্তু ইউপিডিএফ বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি ভেবে দেখার বিষয়। দিনে-দুপুরে বাঙ্গালি এলাকায় এসে গুলিবর্ষণ করে ঘন্টার পর ঘন্টা। এটা কেমন কথা! স্বাধীন দেশে কিভাবে হাজার হাজার অবৈধ অস্ত্রধারী থাকে? বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনের জন্য তো সরকার পার্বত্য চুক্তি করলো ১৯৯৭ সালে। উপজাতিদের সকল দাবিদাওয়া সরকার মেনে নিলো। তাহলে কেন আবার অবৈধ অস্ত্রধারী পাহাড়ে থাকবে? প্রশাসন কি সন্ত্রাসীদের নিকট এবং উপজাতিদের নিকট এই প্রশ্ন রাখতে পারে না চুক্তির পর অবৈধ অস্ত্রধারী কেন? চুক্তি শর্ত ভঙ্গের জন্য মামলা করা হোক। বারবার বাঙ্গালিদের উপর হামলা হচ্ছে। গতকাল আর আজকের ঘটনায় প্রশাসন কোন ব্যবস্থায় গ্রহণ করেনি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধেই। প্রশাসন যদি এখন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে পরবর্তীতে বড়ধরণের অনাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে তখন তার দায়ভার কে বহন করবে? নাকি তখন শুধু বাঙ্গালিদের মামলার আসামী করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের অতীতের ইতিহাস বিবেচনা করলে শেষপর্যন্ত অনাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য মামলার আসামী শুধু বাঙ্গালিরাই হবে বলে প্রতিয়মান হয়। বাঙ্গালিরা হামলারও শিকার হবে আবার মামলারও আসামী হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালিদের পক্ষে কথা বলার মতো কেউ নেই। এক বাঙ্গালি আরেক বাঙ্গালির পেছনে লেগে থাকে আর উপজাতি সন্ত্রাসীদের দালালি করে। বাঙ্গালিরা যে দাদা বাবুদের সঙ্গে রাজনীতি করে সে দাদা বাবুরা সর্বদা জেএসএস-ইউপিডিএফ কে সহযোগিতা করে। বোকা বাঙ্গালিরা তা বুঝে না। দাদার কথায় দল করে বাঙ্গালির বৃহৎ স্বার্থ বির্সজন দেয় পার্বত্য বাঙ্গালিরা। দাদা বাবুরা উপজাতি সন্ত্রাসীদের এজেন্ট হয়ে জাতীয় রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ-বিএনপি করে শুধুমাত্র। এই কথাটা বুঝে না বাঙ্গালিরা!!