উপজাতি জাতীয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের আপনি যতটা অসাম্প্রদায়িক মনে করেন তারা কিন্তু ততটা অসাম্প্রদায়িক নয়।
খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা তবলছড়ি ও তাইন্দং গত দুইদিনে যেভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে সেভাবে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশি হয়নি। এমনকি সংশ্লিষ্ট মহলকেও অদৃশ্য কারণে তৎপর হতে দেখা যায় নি। বাঙ্গালিরা হামলার শিকার হয়ে মাটি কামড়ে ছিল। একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশে অবৈধ অস্ত্রধারী জনসম্মুখে এসে সশস্ত্র মহড়া দেয় এবং গুলিবর্ষণ করে। একের পর এক অপরাধ করে যায়। এরপরও সংশ্লিষ্ট মহলকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায় নি। বাঙ্গালিদের উপর যে হামলা, নির্যাতন-নিপীড়ন এবং অবিচার হয়েছে সে অনুরূপ যদি উপজাতিদের উপর হতো তাহলে “এদেশী গণমাধ্যমের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুলোর প্রধান শিরোনাম হতো পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালি কর্তৃক উপজাতিদের ভূমি দখল করে যাচ্ছে। হামলা করে উপজাতিদের ভূমি কেড়ে নিচ্ছে।” বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন, সুশীল সমাজ, রাম-বাম ও রাজনৈতিক দলগুলো একতরফা ভাবে বাঙ্গালিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতো। অথচ বাঙ্গালি হামলার শিকার হলে সেক্ষেত্রে ভিন্নতা দেখায় তারা।
গত ৪ এপ্রিল মাটিরাঙ্গা বাঙ্গালিদের উপর হামলার পর বাঙ্গালিরা যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। হামলার বিচার চেয়ে প্রশাসনের দারস্থ হয়েও বিচার পায়নি৷ তবুও নীরব ছিল। বর্তমান সময়ে মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এখানে বাঙ্গালিদের উপর হামলার বিষয় গুলো অনেকেই তুলে ধরেছে নৈতিক দায়িত্ব থেকে। অথচ এই বিষয়টি উপজাতি আওয়ামী লীগের নেতারা নেগেটিভ ভাবে নিয়েছে৷ বাঙ্গালিরা হামলার শিকার হয়ে কি বিচার চাওয়ার জন্য ফেসবুকের আশ্রয় নিতে পারে না? এটাকে তাদের অধিকার না? এটা বললে আপনাদের মতো মুখোশধারী নেতাদের কাছে বাঙ্গালিরা সাম্প্রদায়িক হয়ে যায়। উস্কানিদাতা হয়ে যায়। যখন ইউপিডিএফ-জেএসএস, হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও খুন-গুম করে তখন তাদের দৃষ্টি গোচর হয় না! ইউপিডিএফ-জেএসএসের অপরাধ গুলো উপজাতীয় নেতারা চেপে যেতে চায়। আশ্চর্যজনক বিষয়! উপজাতি নেতারা শুধুই মুখে সম্প্রীতির বুলি বলবে। তাদের মুখে মধু অন্তরে ঠিকই বিষ। যেটার প্রমাণ ইতোমধ্যে পার্বত্য বাঙ্গালিরা পাবার কথা। হাজার হাজার উপজাতি কতিপয় উশৃংখল যুবকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্র, সরকার, সেনাবাহিনী ও বাঙ্গালী জনকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে তা নিয়ে তাদের জবাব নেই। শুধু বাঙ্গালিরা নির্যাতিত হয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তখন বাঁধ বাঁধে।
উপজাতীয়দের জন্য উপজাতি নেতাদের থেকে আমরা যে নীতি দেখি, সে একই নীতি আমরা বাঙ্গালির ক্ষেত্রে দেখিনা!
যে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে তাদের অন্যায় নেই। অন্যায় হচ্ছে যে বাঙ্গালিরা হামলার শিকার হয়েছে সে বাঙ্গালিদের। এই হচ্ছে পার্বত্য উপজাতি নেতাদের বিচার। এরপরেও যদি বাঙ্গালি নেতারা না বুজে তাহলে এ বাঙ্গালির কপালে দুঃখ আছে।
হতভাগা পার্বত্য বাঙ্গালিরা বুজে না উপজাতি রাজনৈতিক নেতাদের ভিতরের মনোভাব। এ উপজাতীয় রাজনৈতিক নেতারা বাঙ্গালিদের শুধু ভোট বাক্স হিসেবে ব্যবহার করে। আর মারামারি হানাহানি করার জন্য কদর করে। এসব করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মামলা হামলা বাঙ্গালিরা খায়। কিছু বাঙ্গালিকে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এসব করে। উপজাতীয় রাজনৈতিক নেতারা ইউপিডিএফ-জেএসএসের এজেন্ট হয়ে জাতীয় রাজনৈতিক দল গুলো করে। সন্ত্রাসীদের প্রশাসনিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য এদের শুধুমাত্র জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ। এ কথা গুলো যে কবে বুজবে পার্বত্য বাঙ্গালিরা! এই বাঙ্গালির জন্য করুণা হয়।
লেখক, ফখরুল ইসলাম বাবর।
খাগড়াছড়ি।লেখাটি স্বাধীন মুক্তমতের বহিঃপ্রকাশ। লেখাটি সম্পূর্ণ লেখকের নিজেস্ব।