বান্দরবান রাজভিলা সেনা ক্যাম্প স্থাপন করে ভূমি বেদখল সম্পর্কে Hill Voice কর্তৃক প্রকাশিত নিউজটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এই নিউজ পোর্টালটি নিবন্ধন বিহীন, এর কোন নিবন্ধন নেয়৷ পাহাড়ের চিপায় বসে একের পর এক মিথ্যা ও উস্কানিমূলক সংবাদ প্রকাশ করে জনমতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে নানান ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তৎপর রয়েছে।
উক্ত এলাকায় উপজাতিদের কোন ভূমি দখল হচ্ছে না বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। স্থানীয় হেডম্যান-কার্বারীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সেনারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে সাময়িক উপর্যুক্ত এলাকায় অবস্থান নিয়েছে৷ আর যে জায়গাতে সেনারা অবস্থান নিয়েছে এটা কোন উপজাতিদের জায়গা নয়। সরকারি খাস ভূমিতে সেনারা অবস্থান নিয়েছে। টহল দিচ্ছে মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে। এমনই জানান স্থানীয় হেডম্যান-কার্বারী।
অথচ উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে যে, বান্দরবান রাজভিলা সেনাবাহিনী কর্তৃক উপজাতি ভূমি বেদখল করার চেষ্টা চলছে।
পার্বত্য শাসনবিধির তথাকথিত প্রথাগত নিয়মের দোহাই দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল ভূমি উপজাতিদের দাবি করা হাস্যকর। পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল ভূমির মালিকানা দাবিদার যদি উপজাতীয়রা হয়ে থাকে তাহলে রাস্ট্র কী তাহলে এখানে ভাড়াটিয়া? দেশের সমগ্র অঞ্চলে রাস্ট্রের ভূমি আছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি অবশ্যই রাস্ট্রের। বিশ্বের এমন কোন দেশ কিংবা অঞ্চল নেয় যে, যেখানে রাস্ট্রের ভূমি নেয়। সব ভূমি নাগরিকদের এমন বাধ্যবাধকতা কোন আইনে নেই৷
রাজভিলা এলাকায় সন্ত্রাসীরা বিগত বছর গুলোতে বেশকয়েকটি হত্যাকান্ড সংগঠিত করে। স্থানীয় মানুষেরা জেএসএস সন্তুর খুনাখুনি, চাঁদাবাজি ও অপহরণ অতিষ্ঠে হয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ করেছে উক্ত এলাকায় কিছু স্থানে অভিযান পরিচালনা করার জন্য। সে লক্ষ্যেই সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে। দুঃখজনক যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে রাস্ট্র, প্রশাসন যখন সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে তখনই সন্ত্রাসীরা কুৎসা রটিয়ে দিয়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপবাদ দেয়।
আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন, এর পূর্বে তাইনখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ীভাবে অবস্থানরত সেনাদের উপর জেএসএস নারী সন্ত্রাসীদের হামলার কথা৷ ঐ এলাকাটি সন্ত্রাসী নিয়ন্ত্রিত। যার কারণে মূলত সন্ত্রাসীরা সেনা অভিযান ঠেকাতে নানান কৌশল, এবং মিথ্যা অপপ্রচার বেছে নিয়েছে।
পার্বত্য সচেতন মানুষের নিকট অনুরোধ এধরণের মিথ্যাচার-গুজব যারা রটিয়ে দেয় তাদের আইনের হাতে তুলে দিন।
অপপ্রচারের পোস্ট লিংক