উপজাতি সন্ত্রাসীদের দেওয়া আগুনে পুড়ে ছাই বাঙালির মোটরসাইকেল!

0

||নিজেস্ব প্রতিনিধি||

বাঘাইছড়ির আর্যপুর বনবিহার এলাকায় উপজাতি সন্ত্রাসীরা বাঙালি মোটরসাইকেল চালক সাহেদ-এর গাড়িতে আগুন দিয়েছে!

একটি সূত্র জানিয়েছে, উপজাতি বেশকয়েকজন মোটরসাইকেল চালক ইউপিডিএফ প্রসিত ও জেএসএস সন্তুর সন্ত্রাসীদের পক্ষে সোর্সের কাজ করে আসছে। পিআইও অফিসে জনপ্রতিনিধি হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে সুমন চাকমাকে গত মার্চ মাসের ১৭ এপ্রিল ২০২১ খ্রিস্টাব্দে আটক করে বিজিবি। সুমন চাকমা মোটরসাইকেল ভাড়া চালক। সুমন চাকমাকে আটকের প্রতিবাদে এরমধ্যেই ইউপিডিএফ ও জেএসএস বিভিন্নভাবে বাঘাইছড়ি যানবাহন বন্ধ করার অপচেষ্টাই লিপ্ত ছিল।

ইউপিডিএফের এক নেতা জানান, সুমন চাকমা নামের এক মোটরসাইকেল চালককে বিজিবি আটক করে। ওই চালকের মুক্তির দাবিতে এরমধ্যেই চালকরা বেশ কযেকদিন মোটরসাইকেলও চলাচল বন্ধ রাখে, এবং কর্মসূচী পালন করে। তাছাড়া গত ৪ এপ্রিল প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয় সুমন চাকমাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, আটক সুমন চাকমা ইউপিডিএফের সোর্স। সে দীর্ঘদিন হতে ইউপিডিএফের সোর্সের কাজ করে আসছে। আরো কিছু উপজাতি মোটরসাইকেল চালক আছে যারা ইউপিডিএফ-জেএসএসের কাজ করে। সুমন চাকমাকে আটকের জেরধরে ইউপিডিএফ-জেএসএস হুমকি-দামকি দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করছে।
তারই অংশ হিসেবে “সকল মোটর সাইকেল মালিক সমিতি” নামক নাম দিয়ে অজ্ঞাতভাবে একটি উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি ছাড়ে গত ১৯ এপ্রিল কে বা কা’রা। এতে বলা হয় সমিতির সকল মোটরসাইকেল, টমটম, সিএনজি, জীপ, মাইক্রো ও যাত্রীবাহী সকল যানবাহন আগামী ২০ এপ্রিল থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মালবাহি যান চলাচল অব্যাহত থাকবে। সবাই কর্মসূচী পালনে সহযোগিতা করবেন। সুমন চাকমার নিঃশর্ত মুক্তি চেয়ে উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি দেয়।

স্থানীয়দের ধারণা ইউপিডিএফ প্রসিত ও জেএসএস সন্তু সন্ত্রাসী কর্তৃক ভূয়া বিজ্ঞপ্তি ছেড়ে আজ ২১ এপ্রিল সাহেদের মোটরসাইকেল আর্যপুর বনবিহার এলাকায় ৩ উপজাতি মিলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় ৮ জন উপজাতি সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখ করে আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করে শাহেদ মামলা দায়ের করে বাঘাইছড়ি থানায়। পুলিশ বলছে, তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজাতি সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, খুনাখুনি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চলমান সংঘাতে এভাবে আর কত বাঙালিরা হত্যা, হামলা ও ক্ষতিগ্রস্তের শিকার হবে?

বাঘাইছড়ি উপজেলা হতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জনপ্রতিনিধি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, “রাঙামাটি বাঘাইছড়ি বিগত বছর গুলোতে বেশকয়েকটি হত্যাকাণ্ড, হামলা ও চাঁদাবাজি ঘটনা ঘটিয়েছে, সন্ত্রাসীরা। যার কোনটির বিচার হয়নি, এবং জড়িত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা হয়নি। উপজেলা নির্বাচনের সময় ৭ খুন ও সম্প্রীতি পিআইও অফিসে ঢুকে জনপ্রতিনিধিকে খুন ঘটনা গুলোর মধ্যে অন্যতম।” আরো অহরহ ঘটনা ঘটিয়েছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনা গুলোর পর ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সংগঠন গুলো নির্বিঘ্নে বাধা ছাড়া একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছে। এই চিত্র শুধু বাঘাইছড়িতে নয় সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামে একই চিত্র।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More