অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান- জেএসএসের অপপ্রচার!!

0

বাবর হোসেন চৌধুরী, বান্দরবান

বান্দরবান থেকে সেনা অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ২৮ শে এপ্রিল ভোররাতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সূত্রের তথ্য মতে জানা যায়, জেএসএস সন্ত্রাসীরা নাশকতার লক্ষ্যে বান্দরবান নোয়াপতং ইউনিয়নের নোয়াপতং মুখ একটি জুম ঘরে অবস্থান নেয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বান্দরবান সেনা জোনের অপারেশন দল জুম ঘরে অভিযান চালিয়ে ৯মি:মি পিস্তল ১টি, ৪ রাউন্ড গুলিসহ ম্যাগজিন ১টি, একে- ৪৭ রাইফেল ম্যাগজিন ১টি, ৫.৫৬ মি:মি গুলি ১২৯ রাউন্ড, ৭.৬২ মি:মি গুলি ১২৫ রাউন্ড, একাধিক গুলির বাউন্ডলার, দেশীয় ধারালো অস্ত্র ৭টি, কমান্ডো চাকু, ওয়াকিটকি, জেএসএস সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত জলপাই রঙের একাধিক পোশাক, চাঁদা আদায়ের রশিদসহ সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে।

এসময় সন্ত্রাসী আস্তানাটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতির টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

সূত্রের তথ্য মতে জানা যায়, সন্ত্রাসীরা এই জুম ঘর থেকে এতোদিন চাঁদাবাজি, অপহরণ ও খুন-গুম পরিচালনা করে আসছিলেন৷ জেলায় সমগ্র এলাকায় বিগত বছরগুলোতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা গুলোর আদেশ-নির্দেশ এখান থেকে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়৷ বান্দরবানে জেএসএস সন্ত্রাসীদের একক আধিপত্য বিস্তার চলছে। সন্ত্রাসীদের খুনাখুনি, অপহরণ ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ জেলা বাসী। নিরাপত্তাহীনতায় থাকা মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে সেনারা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করে।

অস্ত্র উদ্ধার অভিযান বন্ধ করতে, এবং অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাকে দামাচাপা দিতে জেএসএস সন্তু সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। নিবন্ধন বিহীন Hill Voice নামের একটি তথাকথিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। দীর্ঘদিন হতে উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠন গুলো পাহাড় থেকে সেনাবাহিনীকে সরাতে নানান অপপ্রচার ও কুৎসা রটিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে একের পর এক অপপ্রচার করছে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে।

১৯৯৭ পার্বত্য চুক্তির শর্ত হিসেবে অবৈধ অস্ত্র পরিহার করে জেএসএস স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার তাগিদ ছিল৷ কিন্তু জেএসএস পার্বত্য চুক্তি নিয়ে ভাঁওতাবাজি করে এখনো অবৈধ অস্ত্র নিয়ে বিদ্যমান রয়েছে৷ সন্ত্রাসী দমনে প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্প গুলো পুনঃস্থাপন জরুরি।

অপপ্রচারের লিংক… https://www.facebook.com/113505323521960/posts/308436937362130/

আগের পোস্টপার্বত্যাঞ্চলে কাঁচাবাড়ি পুড়ে গেলে কিংবা ভেঙে গেলে সরকার পাক্কা দালান নির্মাণ করে দেন।
পরের পোস্টমানসিক প্রতিবন্ধী ধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে সবাই নিশ্চুপ, কারণ ধর্ষক একজন উপজাতি!

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন