ইউপিডিএফ নিরিহ উপজাতি যুবককে ধর্ষক বানিয়ে নির্যাতনের পর সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে!

0

অমিত চাকমা, সাজেক প্রতিনিধি

রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের সাজেক ১০ নং পাড়ার বাসিন্দা অনাদি রঞ্জুন চাকমা (৫৮) ছেলে রনি চাকমা (২৬) কে
ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপ সমর্থিত পিসিপির সন্ত্রাসীরা এক নারীকে ধর্ষণের ধুয়ো তুলে বেধড়ক নির্যাতন করার পাশাপাশি তার মাথার চুল কেটে দিয়ে, এবং তাকে জুতার মালা দিয়ে সমস্ত গ্রামে ঘুরানো হয়। বিষয়টি খুবই লজ্জাজনক। অদ্য (শনিবার) ২২ মে, ২০২১ খ্রিঃ সকালে উক্ত যুবকের উপর এমন নির্যাতন করে ইউপিডিএফ সমর্থিত পিসিপি।

যদি রনি চাকমা প্রকৃত ধর্ষক হয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ ছিল, এবং ধর্ষিত ভিকটিম বা তার পরিবার ধর্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করারও সুযোগ ছিল। কিন্তু সেটা না করে একজন যুবককে এভাবে ধর্ষক সাজিয়ে নির্যাতন করা, এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা কতটুকু আইন সম্মত?

ইউপিডিএফ কি জনগণের বিচারক? এদেশে আইন-আদালত বা কেন? ধর্ষণ মারাত্মক অপরাধ, এর বিচার ইউপিডিএফ কীভাবে করে?

মিতালি চাকমা নামে রাঙামাটি সরকারি কলেজের এইচএসসি পরিক্ষার্থী এক কলেজ ছাত্রীকে ইউপিডিএফ সমর্থিত নারী সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশনে যোগদান না করার অভিযোগে তাকে ৩ মাস আটক রেখে ইউপিডিএফের শীর্ষ নেতারা গণধর্ষণ করে নির্যাতন করেছিল৷
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে উদ্ধার হওয়া মিতালি চাকমা খাগড়াছড়িতে সংবাদসম্মেলন স্বজাতি পার্বত্য বিচ্ছিন্নতাবাদী ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের হাতে ৩ মাস গণধর্ষণের ব্যাখা সহ শারীরিক ও মানসিকতা নির্যাতনের ভয়াবহতা তুলে ধরেন। অথচ আজ সে নারী ধর্ষক ইউপিডিএফ কথিত নারী ধর্ষণের অভিযোগে যুবককে নির্যাতনও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে। বিষয়টি কোনভাবেই সুদৃষ্টিতে দেখার সুযোগ নেই।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More