প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আস্থার প্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

0

পাহাড় কিংবা সমতল, শহর কিংবা গ্রাম, স্বদেশ কিংবা বিদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আস্থার প্রতিক হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস এবং করোনা মহামারিতে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সার্বিক অবস্থা যখন ভায়াবহ দুর্যোগে বিপর্যস্ত, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তখন আর্ত মানবতার কণ্যানে বিপর্যস্ত মানবতার পাশে স্বর্গীয় দূত হিসেবে আবির্ভূত।
করোনা মোকাবিলাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গৌরবময় ভূমিকার প্রশংসা করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।
একটি সশস্ত্র বাহিনী তার পেশাদারিত্বের জায়গা অক্ষুণ্ণ রেখে মানবতার কল্যাণে আত্মনিয়োগ করে জনতার মণিকোঠায় স্থায়ী আবাস নির্মাণ করতে স্বক্ষম হয়েছে।
বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীদের সার্বিক সহযোগীতা করে ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নাম লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক সন্ত্রসী সংগঠনগুলো উপজাতি সম্প্রদায়ের ভাগ্যান্বেষণের মিথ্যা বুলি পুঁজি করে যখন চাঁদাবাজি এবং হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত থাকে তখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিজস্ব হেলিকাপ্টার ব্যবহার করে ভাল্লুকে কামড়ানো উপজাতীদের সামরিক হাসপাতারে নিয়ে চিকিৎসা করায়।ক্ষুধার্ত মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের খ্যাদের অভাব পুরণ করতে সহযোগীতা করে।

দুর্গম পাহাড়ের আন্তঃসত্তা উপজাতি মহিলা যখন প্রসব বেদনায় অস্থির,পার্শ্ববর্তী হাসপাতাল না থাকায় সেনাবাহিনী তাদের হেলিকাপ্টা ব্যবহার করে সামরিক হাসপাতাল ভর্তি করে নিরাপদ গর্ভপাত করার ব্যবস্থা করে দেয়ার নজির অসংখ্য।
সাজেকের দুর্গম এলাকার মানুষ যখন নিরাপদ পানির অভাবে তৃষ্ণার্ত, সেনাবাহিনী তখন তাদেরকে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করে দেয়।
শুধু স্বদেশে নয় বিদেশের মাটিতেও আস্থার প্রতিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
১০ ই জানুয়ারি ২০১৯ ইং। সেন্ট্রাল রিপাবলিক অফ আফ্রিকার একটি শহর বাম্বারিতে সরকার বিরোধি একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী( ইউ পিসি )জনগণকে জিম্মি করে চাঁদা আদায় এবং সে অঞ্চল দখল নেয়ার চেষ্টা করে।
সেখানকার সরকারের অনুরোধে জাতিসংঘ পর্তুগীজ এবং রাশিয়ার সামরিক বাহিনী সেখানে প্রেরণ করে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে।জাতিসংঘ কর্তৃক প্রেরিত পর্তুগিজ এবং রাশিয়ান বাহিনীর সাথে তাদের তুলুন যুদ্ধ হয়।
যুদ্ধে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন নিহত হয়।পরিস্তিতি সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণেই থেকে যায়।
১৭ জানুয়ারি ১০১৯ইং সেখানকার সরকার জাতিসংঘে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণের অনুরোধ জানালে জাতিসংঘ সেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রেরণ করে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো বাহিনী সফল অভিযান পরিচালনা করে সন্ত্রাসীদের পরাস্ত করে জনগনের নিরাপত্তার প্রদান করতে সক্ষম হয়।
এতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সদস্যও নিহত হয়নি।
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও আস্থার প্রতিক হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সুতরাং আস্থার প্রতিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে যদি কোন সন্ত্রাসীগোষ্ঠী বাজে মন্তব্য করে তা সহ্য করা হবেনা।

লেখক: তাপস কুমার পাল, রাঙামাটি

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More