পাহাড়ে উপজাতি নারীরা সভ্যতার যুগেও পরাধীন!!

0

সভ্যতার যুগে এসেও পাহাড়ের উপজাতি মেয়েদের স্বজাতি ছেলেদের হাতে বর্বরতা, নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হতে হয়। সামাজিকভাবে একজন মেয়েকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়। মেয়েদের প্রতি উপজাতি উশৃংখল যুবকদের দৃষ্টিভঙ্গি, এবং অবমাননাকর আচরণ একজন মেয়ে-নারী কিংবা মা-কে সমাজে বেঁচে থাকা অসাধ্য হয়ে পড়ে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উপজাতি উশৃংখল যুবক ও সন্ত্রাসীরা যুগ যুগ ধরে উপজাতি নারীদের ভোগ্যপণ্য হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। মদখোর, নেশাগ্রস্ত ও অকর্মা এসব বর্বর, উশৃংখল যুবকরা নিজেদের বাহাদুরি সরল সোজা অসহায় মেয়েদের সঙ্গেই পারে শুধুই। তারা ১৫/২০ জন মিলে সংঘবদ্ধভাবে একজন মেয়েকে গণহত্যা করে থাকে! যখন কোন মেয়ে তাদের কথা মত অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়না তখন মেয়েদের বাঙালীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয়; বাঙালী ছেলের সঙ্গে কথা বলার মিথ্যা অভিযোগ তুলে বাঙালী ছেলেকে বিবাহ করবে বলে জাত রক্ষার তাগিদ দিয়ে কঠোর নির্যাতন করে গণধর্ষণ পূর্বক হত্যা করা হয়। এমনকি মেয়েটির পুরো পরিবার-কে সামাজিক বয়কটের ডাক দেয়া হয়। মোটা অংকে জরিমানা করা হয়। এমন নজির পূর্ব চট্টগ্রামে অহরহ।
পাহাড়ে জাত রক্ষার নামে বছরের পর বছর উপজাতি মেয়েদের উপর চালানো হয় স্টিমরোলার। মধ্যযুগীয় কায়দায় মেয়েদের নির্যাতন নিপীড়ন করার মাধ্যমে হত্যা করা হয়।

এ সম্ভব ভয়াবহ নৃশংস ঘটনা গুলো এদেশের তথাকথিত নারীবাদী, সুশীল ও গণমাধ্যম কখনো প্রকাশ করেনা। এক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা রহস্যজনক। পাহাড়ের নারীর প্রতি অন্যায় অবিচার, নির্যাতন গুলো তারা কোনভাবেই প্রকাশ করতে চায় না, পক্ষান্তরে তাদেরকে নির্যাতনকারী সন্ত্রাসীদের পক্ষ অবলম্বন করতে দেখা যায়!

নারীদের নিজেস্ব কোন অধিকার নেই। তারা পরাধীন শিকলে বন্দি। পুরুষশাসিত সমাজে তারা শুধু ব্যবহারিত হয় ভোগ্য পণ্যের মত। অর্কমা উপজাতি উশৃংখল ও সন্ত্রাসীরা সারাদিন মদ, গাঁজা আর হানাহানি ও বিদ্বেষ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাদের কোন উপার্জন নেই। নারীরা মাঠে জ্বলে পুড়ে রোজকার করে আর সে পরিশ্রমের টাকা অসভ্য বর্বর গুলো বসে বসে খায়!

পার্বত্য চট্টগ্রামের নারী নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র দেখতে হলে বেশি কষ্ট করতে হবে না, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা গুগলে অনুসন্ধান করলে পাওয়া যাবে।

এই ভিডিওতে হেনেস্তার শিকার মেয়েটি একজন উপজাতি মারমা সম্প্রদায়ের মেয়ে। তাকে বাঙালী ছেলের সঙ্গে মিথ্যা সম্পর্কের দোহাই দিয়ে বেধড়ক মারধর ও হেয় প্রতিপন্ন করে উপজাতি উশৃংখল যুবকরা।

পাহাড়ে উপজাতি মেয়েদের গণধর্ষণ, মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছেড়ে দেয় উপজাতি সন্ত্রাসীরা। যাতে ভবিষ্যতে কোন মেয়ে তাদের কথার অবাধ্য না হয় সেজন্যেই।
মেয়েদের নির্যাতন করে ভিডিও ছেড়ে দেওয়া সন্ত্রাসীদের বিচারের সংস্কৃতি নেই পাহাড়ে৷ যার ফলে একের পর এক উপজাতি মেয়েরা স্বজাতি উশৃংখল যুবক ও সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ দেওয়ার পাশাপাশি গণধর্ষিত হয়ে কলঙ্ক নিয়ে বেঁচে থাকতে হয় সমাজে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More