নওমুসলিম ওমর ফারুক ত্রিপুরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত জেএসএস সন্ত্রাসীদের ৫দিনেও গ্রেফতার করা হয়নি!

0

বান্দরবান রোয়াংছড়ি তুলাছড়িতে উপজাতি সন্তু লারমার জেএসএস সন্ত্রাসীরা নওমুসলিম ইমাম ওমর ফারুক ত্রিপুরা-কে গত-১৮ জুন রাত সাড়ে আটায় নিজে তৈরিকৃত মসজিদে যাওয়ার পথিমধ্যেই গুলি করে হত্যা করে। তিনি খিস্টান থেকে ২০১৪ সালে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তিনি নিজে নেমে পড়েন ধর্ম প্রচারে। মোট ৩০ টি পরিবারের ১৫০ জনের অধিক অমুসলিমকে তিনি মুসলিম করেন। এবং নিজে জায়গা দিয়ে মসজিদ নির্মাণ করেন, সে মসজিদের তিনি ইমামের দায়িত্ব পালন করেন। ইসলাম প্রচারে সক্রিয় ভূমিকায় থাকায় তাকে খ্রিস্টান মিশনারী ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতি সন্ত্রাসীরা গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের প্রশাসন গ্রেফতারে আন্তরিক নয় বলেও জানা যায়।

মুসলমান নিধন খুন-গুম এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার পাহাড়ে।
মুখে মুখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একথা বললেও মুসলমানদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে।

এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে ঝড় উঠে সেভাবে এদেশের সংবাদমাধ্যম গুলোতে ওঠে আসেনি! দুঃখজনক নওমুসলিম হওয়ার কারণে গণমাধ্যমে গুলো ইমাম ওমর ফারুক হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার ঘটনাটি চেপে যায়৷ এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেন নি। স্থানীয় প্রশাসনও নীরব ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। বান্দরবান রোয়াংছড়ি তুলাছড়ি শহীদ ইমাম ওমর ফারুক-এর এলাকার নওমুসলিমরা নিরাপদে নেই এখন৷ তাদেরও হত্যার জন্য হুমকি-দামকি দেওয়া হচ্ছে জেএসএস-এর পক্ষ হতে৷ রোয়াংছড়ি উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যাবামং মারমা ও অপু চাকমা নামের এই দুইজন শহীদ ইমাম ওমর ফারুক-কে জীবিত থাকাকালীন সময় হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ৫দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত প্রশাসন জড়িত বর্ণিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি!

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More