পাহাড়ে উপজাতি মেয়েরা স্বজাতি পুরুষের হাতে নিরাপদ নয়।

0
165

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ২ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ভিডিও’টি তে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে একজন উপজাতি মেয়ে-কে বেশকয়েকজন উশৃংখল উপজাতি যুবক ওড়না টেনে ধরে মারধর করেন, এবং নানান বিশ্রী ভাষায় প্রশ্ন করে গালিগালাজ করার মাধ্যমে ভয়াবহ নারী নির্যাতন করেন।

Lotus Chakma নামের একটি ফেসবুক আইডি হতে অদ্য ২৬ শে জুন, ২০২১ খ্রিস্টাব্দে দুপুর ১২ টায় নারী নির্যাতনের ভিডিও’টি শেয়ার করেন, যার লিংক…
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=853424142248107&id=100027415861006

বাঙালি যুবকের সঙ্গে প্রেমের অভিযোগ তুলে এইভাবে প্রকাশ্যে একজন মেয়েকে হেনেস্তা করা সভ্য সমাজের কাজ হতে পারে না। এটি চরম নারী নির্যাতনের শামিল।

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি মেয়েদের বাঙালির সঙ্গে, কথা, প্রেম ও বিবাহ চিরতরে নিষিদ্ধ। কেউ যদি বাঙালি ছেলের সঙ্গে কথা, প্রেম ও বিবাহ করেন তাকে গণধর্ষণ পূর্বক হত্যা কিংবা নিলামে তোলা হয়।

যেমনটি এই অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মেয়েটির সঙ্গে করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ফয়েজলেক এলাকায় কর্মরত এক বাঙালি যুবকের সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক ছিল, এই অজুহাতে মেয়েটিকে ধরে এনে উপজাতি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনীর ছাত্র সংগঠন পিসিপি’র উশৃংখল যুবকরা মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে।

সামাজিকভাবে মেয়ে ও মেয়ের পরিবারের সদস্যদের বয়কট করার জন্য উপজাতি সন্ত্রাসীরা মেয়েকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নানান স্বীকারোক্তি আদায় করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে অহরহ উপজাতি মেয়েকে বাঙালি যুবকের সঙ্গে সম্পর্কের অজুহাত দিয়ে গণধর্ষণ পূর্বক হত্যা কিংবা মোটা অংকের জরিমানা করে সামাজিকভাবে বয়কট করার মতো করার ঘটনা রয়েছে অহরহ।

এখানকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপজাতি সন্ত্রাসী বাহিনী ও তাদের সাঙ্গুপাঙ্গু কর্তৃক নারী নির্যাতিত হলে কিংবা গণধর্ষণ পূর্বক হত্যাকাণ্ডের শিকার হলে নীরবতা বজায় রাখেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী নির্যাতনকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অদৃশ্য কারণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না। যার ফলে সন্ত্রাসী ও তাদের সহযোগিরা একের পর এক নারীকে নির্যাতন ও হত্যা করে চলছে৷

এদেশের তথাকথিত নারীবাদী, গণমাধ্যম, বুদ্ধিজীবি ও রাম-বামরাও পাহাড়ের ভয়ঙ্কর নারী নির্যাতন নিয়ে রহস্যজনকভাবে কথা বলেন না। অথচ এরাই পাহাড়ে বাঙালির দোষ পেলে বাঙালির চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করে ছাড়েন।

দীর্ঘদিন ধরে এভাবে নারী নির্যাতন করে আসছিলো উপজাতি সন্ত্রাসী ও তাদের ছাত্র সংগঠন গুলো। নারী নির্যাতনের ঘটনাটি নিয়ে এতোদিন ভয়ে কেউ প্রতিবাদ না করলেও এভার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও’টির বিষয়ে অনেক উপজাতি প্রতিবাদ করেছেন। তারা এভাবে একজন মেয়েকে প্রকাশ্যে নির্যাতন ও তার ওড়না টেনে ধরে গায়ে হাত তোলার ঘটনাটি ভালো ভাবে নেননি। এইটাকে নারী নির্যাতন ও জঘন্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত করেছে তারা। এই নিয়ে সমানতালে প্রতিবাদী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেক উপজাতি নারী-পুরুষ।

আগের পোস্টস্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসায় ইউপিডিএফ-এর হাতে প্রান দিতে হলো সাবেক সশস্ত্র সদস্য অমর জীবনকে!
পরের পোস্টবাংলাদেশ সংবিধানের প্রতি ধৃষ্টতা দেখানোর দুঃসাহস উপজাতি সন্ত্রাসীরা কীভাবে পায়?

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন