পারভেজ মারুফ, বান্দরবান!
পার্বত্য বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়িতে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আপুইমং মারমা (৬৬) নামের এক বৃদ্ধকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল (বুধবার) ৭’ই জুলাই বিকালের দিকে অভিযুক্ত ‘কথিত নিষ্পাপ সহজসরল উপজাতি’ পিতাকে অভিযান চালিয়ে ওয়াগয় পাড়া এলাকার থেকে আটক করেন পুলিশ, এবং উপজাতি ভিকটিম সহ নবজাতক সন্তানকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
ছবি: ধর্ষক আপুইমং মারমা (৬৬)
এই বিষয়ে রোয়াংছড়ি থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম যখন ৩ বছর বয়সের শিশু তখন ভিকটিমের মা-কে ওই সৎ ‘কথিত নিষ্পাপ সহজসরল উপজাতি পিতা আপুইমং মারমা বিয়ে করেন’। ওই মায়ের বিয়ে হওয়ার পর থেকে সৎ বাবার সাথে খামার বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। দিন দিন ভিকটিম বড় হলে ধর্ষক বৃদ্ধ লোকটি পরিকল্পিত ভাবে দ্বিতীয় সংসারের থাকার দুই ভাইকে গত অক্টোবর মাসের শেষে দিকে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেন, এবং ভিকটিমের মা-কেও চিকিৎসার করার নামে বাড়ি ছাড়া করেন। ওই সময় ফাঁকা ঘরে কেউ না থাকার অবস্থায় (১৫) বছর বয়সের কিশোরীকে ধর্ষণ করে। গত ২-রা জুলাই শুক্রবার ভিকটিম কিশোরী এক মেয়ে সন্তান প্রসব করেন। এতে গ্রামবাসীদের মধ্যে জানাজানি হলে ভিকটিমের কাছে জানতে চাইলে সৎ বাবা কর্তৃক ধর্ষিত হয়ে ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করেন।
রোয়াংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তৌহিদ কবির বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে এক বৃদ্ধকে আটক করা হয়েছে। নবজাতক সন্তান সহ ভিকটিম মা-কে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে ধর্ষক বৃদ্ধলোকটি অসুস্থবোধ করায় পুলিশের প্রহরায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাখা হয়েছে। আজ ৮’ই জুলাই কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
যারা চিল্লাইয়া ফাল্লাইয়া বলেন, “উপজাতিরা একদম নিষ্পাপ, সহজসরল প্রকৃতির, এবং উপজাতিরা ধর্ষণ কী তাও জানে না। এমনকি তাদের ভাষায় ধর্ষণ নামক প্রতিশব্দও নেই!” যারা এতোদিন এমন বাহবার কথাগুলো বলেছিলেন তাদের মুখে এখন থুতু ছিঁড়ানো উচিৎ বলে আমি মনে করি; বেশ করে তথাকথিত সুশীল, নারীবাদী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক, সাংবাদিক ও গবেষকদের মুখে।
পাহাড়ের প্রকৃত সত্য হচ্ছে, নারী আসক্ত, মদ-গাঁজাখোর ও অকর্মা ৯০% উপজাতি পুরুষ প্রবল ধর্ষক। তারা হীন্য ও নোংরা মানসিকতার অধিকারী। তারা নারীদের সারাদিন মাঠেঘাটে খাটিয়ে নিজেরা মদ,গাঁজা ও জুয়ার আসরে ডুবে থাকে। সময়ে সময়ে খাবার না পেলে বউকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন, নিপিড়ন করেন। বিষয়টি প্রকাশ না হওয়ার পেছনের রহস্য হচ্ছে, উপজাতি অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকির ভয়ে কোন সাধারণ উপজাতি কিংবা ভুক্তভোগী উপজাতি প্রকাশ করেনা। তারচেয়ে বড় কারণ, হলুদ সাংবাদিকতার ফলে পাহাড়ে ভয়াবহ নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো ঘৃণিত ঘটনা গুলো দামাচাপা পড়ে যায়৷