রাঙ্গামাটির কুদুকছড়িতে পরিত্যক্ত সেনাক্যাম্পের জায়গায় বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করে দখল!

0

|জিহান মোবারক, রাঙামাটি|

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাধীন রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার কুদুকছড়ি ইউনিয়নের কুদুকছড়ি উপর পাড়া (আবাসিক) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পরিত্যক্ত সেনা ক্যাম্পের সরকারি খাস জায়গারস্থলে “জনবল বৌদ্ধ বিহার” নির্মাণ করে জায়গা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরকারি খাস জায়গার দখল ঠেকাতে সেনাদের পক্ষ হতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে বলা হয়, “সেনা পরিত্যক্ত জায়গাতে কোন প্রকার চাষাবাদ, স্থাপনা নির্মাণ বা বসতি স্থাপন করা নিষেধ। এই স্থানে কোন কিছু করার পূর্বে অবশ্যই নানিয়াচর জোনের অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। আদেশক্রমে- নানিয়ারচর জোন”।

জানা গেছে, গত ৮ জুলাই ২০২১ খ্রিস্টাব্দে সকাল ৯:০০টার সময় নানিয়ারচর সেনা জোনের অধীন কুদুকছড়ি সেনা ক্যাম্পের একদল সেনা সদস্য উক্ত সর্তকীকরণ সাইনবোর্ডটি টাঙিয়ে দিয়ে যান। এছাড়া মৌনতলার কিজিং নামক স্থানের একটি টিলায় আরো একটি পরিত্যক্ত সেনাক্যাম্পের সরকারি খাস জায়গাতে একই ধরনের বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে সেনাসূত্রে।

এ নিয়ে সচেতন মহল ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, এইভাবে বৌদ্ধ বিহারের নামে সরকারি খাস জমি দখল করা এটা রাস্ট্রের সাথে ধৃষ্টতার সামিল। এটা ধর্ম পালন নয় বরং ধর্মের নামে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি দখল করার হিড়িক। এসব বিষয়ে বাধা সৃষ্টি করলে দেশ-বিদেশ অপপ্রচার করা হয়, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা শাসন চলমান, এবং ধর্মীও প্রতিষ্ঠান ও ধর্ম পালনে বাধা প্রধান করে সেনাবাহিনী।’ এধরণের মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচার করে রাস্ট্র ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ইউপিডিএফ জেএসএস সন্ত্রাসীরা। সেনা সূত্র জানায়, সরকারি খাস জমি দখল রোধ করতে প্রশাসন ও এলাকার জনগণকে সচেতন থাকতে হবে। ধর্মীও প্রতিষ্ঠানের নামে সরকারি খাস জমি দখল না করার জন্য পার্বত্য বিচ্ছিন্নতাবাদী দেশদ্রোহী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সহ কুচক্রী মহলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসী HBF কে বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মোতাবেক অবৈধ অস্ত্রধারীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার কথা। কিন্তু তারা এখন অবৈধ অস্ত্র নিয়ে বিরাজমান। যার ফলে সেনাবাহিনীও অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দমনে, এবং রাস্ট্রের অখণ্ডতা রক্ষার স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রামে থাকা স্বাভাবিক বলে জানান। তিনি আরো জানান, পরিত্যক্ত সেনা ক্যাম্পের জায়গা জমির প্রকৃত মালিক সরকার। সরকারের খাস জমি ও সেনাক্যাম্পের পরিত্যক্ত জায়গাতে বৌদ্ধ ধর্মীও প্রতিষ্ঠান করে দখল করার বিষয়টি খুবি দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।”

উল্লেখ যে, ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৩৯ টি সেনা ক্যাম্প পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করে সমতলে ফিরে নেওয়া হয়। সেসব প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্পের পরিত্যক্ত সরকারি খাস জায়গা গুলোর অধিকাংশ বৌদ্ধ বিহারের নামে ইউপিডিএফ- জেএসএস সন্ত্রাসীরা দখল পূর্বক সন্ত্রাসী তৎপরতা পরিচালনা করে আসছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More