বিতর্কিত প্রথম আলোর কুখ্যাত সাংবাদিক বুদ্ধজ্যোতি চাকমা ‘রাঙামাটি’ ছেড়ে বান্দরবানে কেন??

0

হাসান মিলন, বান্দরবান

পার্বত্য চুক্তির ১ বছর পরে ১৯৯৮ সালের ২৬ শে ডিসেম্বর ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনের মধ্যদিয়ে পার্বত্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) চুক্তির বিরোধিতা করে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠ হওয়ার তিন বছরের মাথায় ২০০১ সালে রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলা হতে বিদেশী তিন নাগরিককে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিজেদের শক্তিসামর্থ্য জানান দেয়। ওই অপহরণের ঘটনায় অন্যতম হোতা ছিল বুদ্ধজ্যোতি চাকমা। তৎকালীন এই অপহরণ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশের উপর কূটনীতিকের মাধ্যমে চাপ বৃদ্ধি করে। সরকারের চাপাচাপির কারণে তৎকালীন তিন বিদেশী নাগরিককে ইউপিডিএফ ৩ (তিন) কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়৷ অপহরণের মুক্তিপণের টাকা দিয়ে মূলত ইউপিডিএফ চালকের আসনে।
তিন বিদেশী নাগরিককে অপহরণ নিয়ে ইউপিডিএফ-এর উপর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ হতে চাপ ছিলো। যার কারণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিতে এবং নিজেকে রক্ষার করতে রাঙামাটি থেকে বান্দরবানে আত্মগোপনে যান।

বিতর্কিত প্রথম আলোর কুখ্যাত সাংবাদিক বুদ্ধজ্যোতি চাকমার নিজ বাড়ি রাঙামাটি জেলা। বর্তমানে বান্দরবান ৫ নং উজানি পাড়া বাসা করে আছেন। প্রবল বাঙালি মুসলিম ও রাস্ট্র বিরোধী কুখ্যাত, উগ্রবাদী বুদ্ধজ্যোতি চাকমা সাংবাদিকের মতো মহৎ পেশায় নিয়োজিত হয়ে একের পর এক রাস্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড, এবং সাম্প্রদায়িকতা করে পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্প্রীতি বিনষ্ট করে আসছে।

কথিত আছে ১৯৯৬ সালে রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলায় ৩৫ কাঠুরিয়াকে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যা করার তীরও তার দিকে৷

এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদীকে নানিয়ারচর থেকে তিন বিদেশি নাগরিক-কে অপহরণের দায়ে আটক করার জন্য পার্বত্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি বিশেষ অনুরোধ। কারণ এই কুখ্যাত সন্ত্রাসীর কারণে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বিদেশের কাছে। এই সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে দেরি হলে অচিরেই আরো ভয়ঙ্কর নাশকতা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতিয়মান হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More