প্রথমে জন্ম নিবন্ধন সদন, দ্বিতীয়তে জাতীয় পরিচয় পত্র, তৃতীয়তে চেয়ারম্যান সদন, তারপর নিজ কিংবা বাপ-দাদার পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটিতে এক টুকরো রেজিস্ট্রি কৃত্য- জমির জবানবন্দি, খাজনা জমা রশিদ ও হেডম্যান সার্টিফিকেট।
এরপর জেলা প্রশাসক অফিস মেইন্টিং, তারপর উপজেলা হতে তদন্ত রিপোর্ট টাকার বিনিময়ে। এতোকিছুর পরে মিলবে স্থায়ী সনদ। এরপর ডিসি অফিসের বারান্দা জুতা ক্ষয় হবে, মিউটেশনের জন্য হেডম্যানের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে, এবং প্রতিটি টেবিলে টেবিলে টাকা পরিশোধ করার পর কোন কোন একসময় জায়গা রেজিস্ট্রি হবে।
আবার উপজাতি, অ-উপজাতি পরিচয় প্রদান মন চাইলে সনদ দেবো নয়তো নাহ্! আপনি বাংলাদেশের বাঙালী নাকি..? নাকি তিন পার্বত্য জেলার অ-উপজাতি সেটেলার। হ্যাঁ, দুঃখের বিষয় হলেও সত্য নিজ দেশে আমারা পরবাসী। তিন পার্বত্য জেলায় জায়গা রেজিস্ট্রি করতে হয়রানী কত প্রকার ও কি কি ভুক্তভোগীরাই বুঝবে…
লেখক: হান্নান সরকার
রাঙামাটি হতে।