দেশদ্রোহী স্বাধীনতা বিরোধীরা কৌশলে দেশ দখলের অংশ হিসেবে পাহাড়ে সন্ত্রাসবাদের আবির্ভাব ঘটিয়েছে।

0

|অপূর্ব সাচিং, বান্দরবান|

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী দলের কার্যক্রম সর্বজনমতের নিকট প্রশ্নবৃদ্ধ। বিভিন্ন স্বার্থের কারণে একটি দেশদ্রোহী মহল এ কাজ করে দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে তারা নানানভাবে তৎপর রয়েছে। কিন্তু এদের বিষয়ের ওপর গণভোট হলে অবশ্যই ৯৯% ভাগ মানুষ এর বিরুদ্ধে ভোট দিতো। এরা আমাদের অস্তিত্ব, সংবিধান ও স্বার্থের বিরুদ্ধে। আর পার্বত্যচুক্তিও এর অন্যতম মাধ্যম হিসেবে তারা বিবেচনায় নিয়েছে। বিতর্কিত ধারা সহ চুক্তি বাস্তবায়নের তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর সরকার তা সংশোধনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলে তারা তা বাস্তবায়ন করতে চাপ প্রয়োগ করছে। আর যদি করতে হয় বর্তমান সংবিধানের বিভিন্ন ধারা বাদ দিতে হবে।
পার্বত্য চুক্তি যেদিন বাস্তবায়িত হবে সেদিন এখনকার অর্ধেক জনগোষ্ঠী বাস্তহারা হবে। তাদেরকে সন্তু লারমার সন্ত্রাসীরা বের করে দিবে।
চুক্তি বা কালোচুক্তি বা পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি যে নামেই একে ডাকা হোক না কেন, এর সুফল ভোগ করে যাচ্ছে সন্তুলারমা ও তার দোসরেরা। তারপরও সরকার বিরোধী কার্যক্রমে পিছ পা হয়নি তারা। পাহাড়ে-জঙ্গলে অমানবিক জীবন-যাত্রায় হতদরিদ্র উপজাতীয় নারী-পুরুষের ভাগ্যেও জুটেনি এই চুক্তির কোন সুফল।

অন্যদিকে পার্বত্যবাসী বাঙালিরা প্রথম থেকেই আতংকিত ছিলেন চুক্তির কারণে নিজেদের অস্তিত্ব হারোনোর ভয়ে, যা বিগত ২৩ বছরে ধাপে ধাপে ভুক্তভোগী সচেতন বাঙালি নাগরিকেরা টের পেতে শুরু করেছেন। এর সর্বশেষ আলামত ফুটে উঠেছে গত আগস্ট ২০১৬ বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় এবং জাতীয় সংসদে পাশকৃত বহুল বিতর্কিত পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন (সংশোধনী) ২০১৬ এর মাধ্যমে।
আরো স্পস্ট হয়েছে যে, এই চুক্তির বিভিন্ন ধারা উপ-ধারা।
যা আমাদের সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ের ২৬, ২৮, ২৯, ৩৬, ৩৮ ও ৪২ নং ধারার সাথে সংঘর্ষিক।

এছাড়াও আরো অনেক সমস্যায় দেশদ্রোহীর প্রমাণ রয়েছে। এ সন্ত্রাসীরা তাদের উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে পাহাড়ে চাঁদাবাজি,গুম হত্যা, অপহরণের মাধ্যমে দৈনন্দিন হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে অবৈধ অস্ত্র সরবরাহ ও বিভিন্নভাবে সদস্যদের পরিবারের খরচ বহন করছে।
এদের প্রতিহত করতে ব্যাপকহারে সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করে দেশ বিরোধী চক্রকে ধূলিসাৎ করতে হবে।
দেশ ও জাতি বাঁচাতে এদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More