ইয়ান ইয়ান পার্বত্য চট্টগ্রামের সেনাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মিথ্যাচার রটিয়েছে!

0
ছবি: ইয়ান ইয়ান রাখাইন

আত্মস্বীকৃত কুখ্যাত রাজাকার ত্রিদিব রায়ের অশুভ পুত্র চাকমা সার্কেলের ৫১তম সার্কেল চীফ (কথিত রাজা) দেবাশীষ রায় বরাবরই বাংলাদেশ বিরোধী৷ কুখ্যাত পিতা যেমন ‘৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে পাকিস্তানে চলে গিয়েও এদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। ঠিক সেও পিতার আদর্শ ধারণ করে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে বাংলাদেশ বিরোধী নেতিবাচক প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে কথিত রাজা দেবাশীষ রায়ের দ্বিতীয় ‘পত্নী রানী ইয়ান ইয়ান (বার্মিজ রাখাইন)’ কথিত রাজাকে খুশি করতে সমগ্র চাকমা সার্কেল নিজেদের আয়োত্তে নিতে একের পর এক রাস্ট্র বিরোধী তৎপরতায় নিযুক্ত হয়েছেন। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কুৎসা ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। এর কারণেই জাতিসংঘ সহ প্রভাবশালী দেশগুলো বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পাচ্ছে। এর পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। রাস্ট্রীয় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে প্রথাগত নিয়ম চালু রেখেছে। এর ফলে পাহাড়ে সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজাতি সন্ত্রাসীরা স্বজাতি হত্যায় মেতে উঠছেন। HBF সূত্র জানিয়েছেন, “এ অঞ্চলের চাঁদাবাজির ভাগবাটোয়ারা রানী ইয়ান ইয়ানও পেয়ে থাকেন। তা দিয়ে বিলাসী জীবনযাপন সহ তথাকথিত মানবাধিকার কর্মী সেজে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে কাল্পনিক মিথ্যাচার রচিত করেন। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও গল্পকাহিনী রচিত করা তার দৈনন্দিন রুটিন। নারী মানবাধিকার কর্মী সেজে পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে৷ সেই একের পর উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। রাখাইন সম্প্রদায়ের মেয়ে হওয়ার কারণে তাকে চাকমা রানী হিসেবে চাকমা জাতি সমাজব্যস্থা মেনে নেয়নি। অধিকাংশ চাকমা পণ্ডিত চাকমা রাজার এই দ্বিতীয় পত্নীকে রানী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অনিচ্ছুক। রাজার প্রথম রানী মারা গেলেও তার এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান আছেন। তারাও এই রানীকে মেনে নেয়নি। এসব কিছু মিলিয়ে চাকমা রাজা দেবাশীষ রায় স্বজাতির রোষানলে পড়ছেন। রানী ইয়ান ইয়ান খুবি ছলনাময়ী, এবং চালাক প্রকৃতির নারী৷ চাকমা জাতি ও রাজাকে খুশি করতে রানী বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনী বিরুদ্ধে আগ্রাসী তৎপরতায় নিযুক্ত হন।

১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তির শর্ত অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর ৪টি বিগ্রেড পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। চুক্তির অন্যতম মৌলিক শর্ত ছিলো চুক্তি পক্ষ পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি সম্পূর্ণভাবে অবৈধ অস্ত্রপরিহার করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি চুক্তির দীর্ঘবছর পরেও অবৈধ অস্ত্র ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেনি। মূলত সরকারের সঙ্গে ভাঁওতাবাজি করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি ৪ ভাগে বিভক্ত হয়ে অত্র অঞ্চলে যুদ্ধ অবস্থা বিরাজমান রেখেছে পূর্বের ন্যায়ে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী যৌথবাহিনী সমন্বয়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের অংশ হিসেবে অভিযান পরিচালনা করে থাকেন। এছাড়া অত্র জনপদের জানমাল হেফাজত ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহ চুক্তি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে অপারেশন উত্তোলন করছেন।

এ অঞ্চলে পিছিয়ে পড়া হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে অগ্রসর করতে শিক্ষা, চিকিৎসা সেবা, সেলাই প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন প্রকার সহায়তা প্রদান করে আসছেন। সেনাবাহিনীর জনহিতকর কার্যে উগ্রবাদী রাণী ইয়ান ইয়ানের সন্ত্রাসী তৎপরতা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। কারণ বিলুপ্ত রাজপ্রথা, প্রথাগত নিয়ম ও রাজ রাণী হিসেবে এখানকার উপজাতি সমাজ ব্যবস্থার উপর প্রভাব খাটাতে ইয়ান ইয়ান এ অঞ্চলে রাস্ট্রীয় আইন কর্যাকর করে রেখেছেন। স্থানীয়রা মনে করেন, মূলত তার রাণী প্রথা ও খবরদারি টিকিয়ে রাখতে সেনাদের এ অঞ্চল থেকে হটানোর অংশ হিসেবে সেই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।

মানবাধিকার কর্মী হিসেবে মার্কিন নারী শান্তি নির্মাতা পুরস্কারের ৯ জনের চূড়ান্ত তালিকায় মনোনীত হয়েছেন, কথিত রানী ইয়ান ইয়ান। বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ জড়িয়ে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র যখন মানবতার ফেরিওয়ালা তখন উগ্র সাম্প্রদায়িক কথিত রানী ইয়ান ইয়ানকে মনোনীত করাটাই অস্বাভাবিক কিছু নয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More