স্বাধীনতা বিরোধী বিশ্বাসঘাতকদের কোন ধৃষ্টতা প্রদর্শন বাংলার মানুষ মেনে নিবে না।

0

|জিহান মোবারক, রাঙ্গামাটি|

বাংলাদেশের এক-দশমাংশ আমাদের প্রিয় পার্বত্য চট্টগ্রাম। এ অঞ্চলকে ঘিরে যুগ যুগ ধরেই দেশি-বিদেশি নানান ষড়যন্ত্র চলছে। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা আমাদের এই প্রিয় মাতৃভুমির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল সেই সব দেশেদ্রোহীরাই আজকে আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে আলাদা করার জন্য বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে দেশদ্রোহী সন্ত্রাসীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে পাহাড়কে আমাদের মানচিত্র থেকে আলাদা করার জন্য পাহাড়কে অশান্ত করে তোলেছিল, পরবর্তীতে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পাহাড়ের শান্তির জন্য উপজাতি দেশদ্রোহী সন্ত্রাসীদেরকে ভালো হওয়ার সুযোগ দিয়ে তাদের সাথে শান্তি চুক্তি করলেও ভেবেছিলাম পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসবে। কিন্তু পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসবে থাক দূরের কথা সেই সব সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে তাদের রাজত্ব কায়েমের জন্য অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে আরো সু-সজ্জিত হচ্ছে। 

পাহাড়ে একের পর এক অস্থিরতা তৈরি করছে সন্ত্রাসীগোষ্ঠী। আমাদের দেশের গৌরব সেনাবাহিনীর উপর পর্যন্ত হামলা চালাচ্ছে, গত ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে সেনা সদস্য সোঃ নাছিমকে রাজস্থীতে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে। আজকে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামকে তাদের কথিত আলাদা রাষ্ট্র, ‘জুম্মল্যান্ড’ নামক রাষ্ট্র গঠন করার জন্য রাষ্ট্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছে। কিন্তু তারা জানেনা যে, আমরা কতোটা ধৈর্যশীল। এই সব রাষ্ট্রদ্রোহী সন্ত্রাসীরা যদি আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের ভৌগলিক অখন্ডতা খর্ব করার জন্য ধৃষ্টতা প্রদর্শন করে তাহলে আমাদের বাংলাদেশের জনগণ তা কখনও মেনে নেবে না। এই বিজয়ের মাসে বলছি কঠোর ভাবে এই সব সন্ত্রাসীদের দমন করা হবে। আর সেই পরিস্থিতি হবে খুব ভয়াবহ। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র দেশপ্রেমিক জনতা মেনে নিবে না।

আত্মস্বীকৃত রাজাকার ত্রিদিব রায় ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করে বাংলাদেশ ত্যাগ করে। সে আত্মস্বীকৃতি রাজাকার ত্রিদিব রায়ের পুত্র কথিত রাজা দেবাশীষ ও তার পত্নী ইয়েন ইয়েন বর্তমান বাংলাদেশকে নিয়ে নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তোয়াক্কা না করে গোপনে বিদেশী কুটনৈতিক ও মিশনারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে রাষ্ট্র ভাগ করার গোপন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাদের দেশ বিরোধিতা ও গভীর ষড়যন্ত্র ১৬ কোটি মানুষ বরদাস্ত করবে না। স্বাধীনতার যুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের এ একটি অংশ পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করে যুদ্ধাপরাধ করেছে৷ তারা ক্ষমার অযোগ্য। এই বাংলার মাটিতে তাদের বিচার হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More