পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে দাবি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষন কমিটির।
ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষন কমিটির আহ্বায়ক ( মন্ত্রি পদমর্যাদা ) আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ। গতকাল মঙ্গলবার ৭ ডিসেম্বর, জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ৫ ম বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান । বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল , পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উসেশিং , পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম , পার্বত্য চট্টগ্রাম শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি , পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য চুক্তি সরকার বাস্তবায়নে আন্তরিক নয় বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন, চুক্তির দ্বিতীয় পক্ষ পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা।
এদিকে চুক্তির প্রথম পক্ষ সরকার বলছে, পার্বত্য চুক্তির অধিকাংশ ধারা উপধারা বাস্তবায়িত৷ আংশিক কিছু ধারা উপধারা রয়েছে যা বাস্তবায়ন কার্যক্রম প্রতিক্রিয়াধীন রয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, সরকার পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে এ অঞ্চলে শান্তি সম্প্রীতি, উন্নয়ন এবং দীর্ঘদিনের হানাহানি ও রক্তারক্তি সংঘর্ষ বন্ধ করতে জেএসএস সন্তুর সঙ্গে চুক্তি সম্পাদিত করে। সরকার সরকারের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেও জেএসএস সন্তু চুক্তির মৌলিক ধারা লঙ্ঘন করে এখনো অবৈধ অস্ত্র নিয়ে পাহাড়ে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা, হত্য, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ধর্ষণের সাথে জড়িত।
স্থানীয় পার্বত্যবাসী মনে করে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার পূর্বক এবং পার্বত্য চুক্তির অসাংবিধানিক ধারাগুলো সংশোধন পূর্বক পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন করা হোক। অসাংবিধানিক ধারা সংশোধন না করে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন করলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী যেমন মৌলিক অধিকার হতে বঞ্চিত হবে তেমনি এ অঞ্চলের উপর সরকার নিয়ন্ত্রণ হারাবে।