পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান অঞ্চলে তাদের আধিপত্য বিস্তার। বিদেশি এনজিও, মিশনারী ও দাতা সংস্থাগুলোর তত্ত্বাবধানে এবং এদেশীয় কতিপয় বুদ্ধিজীবী ও বাম রাজনৈতিক দলগুলো ছত্রছায়ায় উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবাদ চালাচ্ছে। সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো গোপনে প্রকাশ্যে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব তিমুর কিংবা দক্ষিণ সুদানের মতো অবিকল আলাদা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের দিকে হাঁটছে।
পার্বত্য সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর কোনো ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করলে এদেশের অধিকাংশ মানুষ বলে থাকে ছবিগুলো ভারতের নাগা বিদ্রোহী কিংবা বার্মার কাচিন সশস্ত্র বিদ্রোহীদের ছবি। আমরাও পাঠকমহলের নিকট ছবির বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণ উত্থাপন করতে ব্যর্থ হই। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এদেশের সুযোগ-সন্ধানী আগাছা ও পাহাড়ের জ্ঞানপাপী মহা পন্ডিতরা সর্বদা উপজাতি সন্ত্রাসীদের ছবিকে ভিনদেশীদের ছবি বলে প্রচার করে দামাচাপা দিতে তৎপর থাকে।
Link-
https://www.facebook.com/100059411174026/posts/321312773192426/?app=fbl
এদিকে আমরা বারবার বলে আসছি এসমস্ত ছবি ভিনদেশী কোন বিদ্রোহীগোষ্ঠীর ছবি নয়। এটি হচ্ছে এদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র উপজাতি সন্ত্রাসী বাহিনীগুলোর ছবি। সংযুক্ত ছবিটিতে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও বালু ভর্তি বস্তায় বাংলা বর্ণমালায় লেখা৷ অত্যাধুনিক অস্ত্র সহ বালুর বস্তায় বাংলা লেখার বিষয়টি বিচার বিশ্লেষণ করে নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, ছবিটি এদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি সন্ত্রাসীদের। তারা বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গহীনপাহাড়ে অস্ত্র মোতায়েন করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পরিচালিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ফেসবুক একাউন্ট ও পেইজেই ছবিটি ছড়িয়ে পড়ছে এবং এই ছবিটিতে ক্যাপশন দিয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার এবং বাহিনীকে। ১৮ই ডিসেম্বর ২০২১ খ্রিস্টাব্দে ছবিটি উপজাতি সন্ত্রাসী নিয়ন্ত্রিত ফেসবুক একাউন্টে দেখা যায়। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে কাজ করা ‘পার্বত্য সচেতন নাগরিক সমাজ’ নামের একটি সংগঠনের সভাপতি জানান, উপজাতি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী কর্তৃক রাষ্ট্রকে অস্ত্র প্রদর্শন কিংবা হুমকির বিষয়টিকে কোনভাবে হালকাভাবেই নেওয়ার সুযোগ নেই। একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব গণতান্ত্রিক দেশে এভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী থাকা রাষ্ট্রের জন্য হুমকি স্বরূপ। এই সমস্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর মেরুদন্ড ভেঙ্গে না দিলেও অচিরে বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ হুমকি অপেক্ষা করছে। এই সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো কার্যক্রম থেকে বুঝা যাচ্ছে তারা বেশ পাকাপোক্ত এবং শক্তিসাধন করেছে। তাই এখনই তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া উচিত।
রাষ্ট্রীয় একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর থেকে অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ এবং অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীনপাহাড়ে সশস্ত্র তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত অধিবাসীদের অভিযোগ, পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) বাংলাদেশ সরকার মধ্যকার ১৯৯৭ সালের সম্পাদিত ‘পার্বত্য চুক্তি’ অনুযায়ী পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রধারী থাকার কথা নয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে তারা চুক্তির মৌলিক শর্ত লঙ্ঘন করে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে এখনো সক্রিয় রয়েছে। তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার কথা থাকলেও রাস্ট্রের নতজানু নীতির কারণে তারাই ৪ভাগে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন নামে পাহাড়ে চাঁদাবাজি, অপহরণ, ধর্ষণ ও খুন-গুম সহ রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কর্মকান্ডের সাথে সরাসরি যুক্ত হয়েছে। যার কারণে পাহাড়ের মানুষ অতিষ্ঠ। পাহাড়ের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সড়ক, শিক্ষা ও কাঠামো নির্মাণ সহ সবধরনের উন্নয়ন কার্যক্রমে উপজাতি সন্ত্রাসীরা বাধা প্রদান করে থাকে৷ এতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।