পর্দার অন্তরালে আরো ভয়ঙ্কর নির্যাতন করা হয়েছে। এভাবেই নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া চরম অন্যায় ও অবিচার। বাঙ্গালী পুরুষদের সঙ্গে উপজাতি নারীদের কথা, প্রেম কিংবা বিবাহের অজুহাত দিয়ে এভাবে পাহাড়ে ভয়ঙ্কর রূপে উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক নির্যাতন করা হয়। রাস্ট্রীয় আইন থাকার স্বত্তেও এই সন্ত্রাসীরা নিজেস্ব আইনকানুন তৈরি করে যুগের পর যুগ ধরে পাহাড়ে নারী নির্যাতন করে থাকে। যা সভ্য সমাজের মানুষ করতে পারেনা। তথাকথিত সুশীল, বুদ্ধিজীবি ও গণমাধ্যমগুলো পাহাড়ের ভয়ঙ্কর নারী নির্যাতনের ঘটনা চেপে যায়। অথচ এরাই আবার পাহাড়ে পান থেকে চুন খসলে বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীর চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করে!
রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার তুলাবান এলাকায় গত ১৯ই ডিসেম্বর রাত থেকে ২০ই ডিসেম্বর বিকাল পর্যন্ত বাঙ্গালী সাইফুল ইসলাম ও উপজাতি এক নারীকে কথা ও প্রেমের সন্দেহে ‘পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) বাঘাইছড়ি ইউনিট কর্তৃক মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়। এমনকি তাদের হত্যা করার চেষ্টাও করা হয়। এবং উক্ত নারীকে গণধর্ষণ পূর্বক নিলামে তোলা হয়! বর্তমানে উপজাতি নারী ও বাঙ্গালী পুরুষ মারাত্মক আহত অবস্থায় আছেন। তারা চিকিৎসা সেবা নিতে পারছেন না সন্ত্রাসীদের কারণেই।
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি নারীদের বাঙ্গালী পুরুষদের সঙ্গে কথা বলা, প্রেম কিংবা বিবাহতে বাধা সৃষ্টি করে উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো৷ এছাড়া কোন নারীকে ভোগ করার খায়েশ জাগলে সন্ত্রাসীরা বাঙ্গালীর সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে উপজাতি নারীকে ভোগ করে দিনের পর দিন। নারীর পরিবারকে সমাজ থেকে বহিষ্কার করে। তাদের মোটা অংশে জরিমানা করে সন্ত্রাসীরা। এমন প্রথা রীতিনীতি পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান। এর ফলে সন্ত্রাসী কর্তৃক হাজারো উপজাতি সন্ত্রাসী যেমন ভোগবিলাসের শিকার হয় তেমনি হত্যাকাণ্ডেরও শিকার হয়। পাহাড়ে বিচার ব্যবস্থা নাজুক এবং এখানকার প্রশাসন এসব বিষয়ে তৎপর নয়। মূলত এই কারণেই ভয়ঙ্কর নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়৷
ভয়ঙ্কর নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সবাই প্রতিবাদ করুন এবং সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে বেশি বেশিই ভিডিও’টি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।