খাগড়াছড়িতে আ.লীগ নেতার উপর ইউপিডিএফ ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীদের হামলা
পার্বত্য খাগড়াছড়ি সদর আওয়ামীলীগের সভাপতি সনজিব ত্রিপুরার উপর ইউপিডিএফ প্রসিত বিকাশ খীসার সন্ত্রাসী গ্রুপ কর্তৃক হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারসহ বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
(শুক্রবার)২৮ জানুয়ারি ২০২২ খ্রিস্টাব্দে বিকেল ৪টার সময় সদর আওয়ামীলীগ কার্যালয় এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
খাগড়াছড়ির সর্বস্তরের জনসাধারণে’র ব্যানারে আয়োজিত প্রতিবাদ কর্মসূচীতে সাধারণ উপজাতিরা প্রতিবাদের অংশ হিসেবে মাঠে নেমে এসেছে। ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যা ও ধর্ষণ এতটাই যে বেড়েছে সাধারণ উপজাতিরা আজ অতিষ্ঠ। প্রতিবাদ কর্মসূচীতে সদর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়ের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- পেরাছড়া এলাকার রয়েল ত্রিপুরা, ছাত্রলীগের আহবায়ক টুটুল ত্রিপুরা, পৌর অওয়ামী লীগের মানিক পাটোয়ারী, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুল্লা হিরু, জেলা দপ্তর সম্পাদক চন্দন দে, সদর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় দাশ প্রমুখ।
সমাবেশে হামলাকারী ইউপিডিএফ ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীদের প্রতি তীব্র নিদ্রা জানিয়ে বলেন, হত্যার উদ্দ্যোশ্যে হামলা করা হয় তাঁকে। আমরা আর ঘরে বসে নেই। হামলাকারীদের প্রতিহত করতে হবে। ভভিষ্যতে কোন হামলা করা হলে পরিনাম ভয়াবহ হবে।
বক্তারা আরও বলেন আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ পাহাড়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সস্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। পাহাড়ে জান মালের নিরাপত্তায় প্রশাসনকে আরও কঠোর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তারা।
এছাড়া অবিলম্বে সনজীব ত্রিপুরার ওপর সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের দ্রুত আটক করে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানানো হয় এ সময়।
আজ সকালে সদর আওয়ামীলীগের সভাপতি সনজিব ত্রিপুরা যাত্রীছাউনীর কাজে পরিদর্শনে আসলে ওই সময় ইউপিডিএফ প্রসীত বিকাশ খীসার একটি সশস্ত্র বাহিনী অস্ত্র ঠেকিয়ে চাঁদা দাবী করলে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে এলাবাসী ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। যদিও শুনা যায়, ৪জন সন্ত্রাসীকে এলাকাবাসী আটক করেন। কিন্তু তাদের বিষয়ে আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রামে এভাবেই ইউপিডিএফ ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীরা চাঁদাবাজি করে। এ সন্ত্রাসীরা এতটা হিংসা এদের চাঁদাবাজির কবল থেকে উপজাতি বাঙালি কেউ রেহাই পায়না। তাই তাদের চাঁদাবাজি ও অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে এসেছে সাধারণ উপজাতি নরনারীরা।