বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি সদর উপজেলায় এক উপজাতি মারমা সম্প্রদায়ের নারীকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করেছে কে বা কাহারা। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ ২০২২ খ্রিস্টাব্দ) রাতে নোয়াপতং ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম চুইরাম্যা মারমা (৩৭)। সে পাড়ার কৃষক থুইচা প্রু মারমার স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আলেচু পাহাড়ি গ্রামে মসলা বাগানে কাজ করতে যাওয়া উপজাতি মারমা সম্প্রদায়ের এই নারীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বাগানে গাছ কাটতে যাওয়া শ্রমিকেরা একা পেয়ে ঐ নারীকে ধর্ষণ করে লাশটি পাহাড়ের খাদে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, ও পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এদিকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় চারজনকে আসামি করে রোয়াংছড়ি থানায় নিহতের পুত্র উশৈচিং মারমা বাদী হয়ে মামলা করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
নিহতের পিতা ফাথুই মারমা বলেন, পাহাড়ে নিজেদের চাষ করা জুম ক্ষেতে হলুদ উত্তোলন করতে গিয়েছিল বড় মেয়ে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘরে ফিরে না আসায় রাতে তাকে খুঁজতে বাগানে যান পরিবারের লোকজন। বাগানের পাশে পাহাড়ের খাদে মেয়ের গলা কাটা জামা কাপড় ছেড়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে তারা লাশ উদ্ধার করে। আমার মেয়ের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রোয়াংছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুল মান্নান জানান, ধর্ষণের পর নারীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।