গত ১৫ মার্চ ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, সকালে খাগড়াছড়ি দীঘিনালা হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মিলন চাকমার মৃত্যু ঘটে। ডাক্তারের মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী এটি অসুস্থজনিত কারণে মৃত্যু। অথাৎ এটা স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা। এখানে নির্যানের কোন আলামত নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েপড়া ছবিগুলো সম্পূর্ণ এডিট এবং রং মিশ্রন করা। তারা নিত্য নতুন ইস্যু সৃষ্টির জন্য এমন নাটক পূর্বেও করেছে এখনো করে যাচ্ছে। এই বিষয়ে এবং গুজব রোধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এদিকে ইউপিডিএফ ও স্বীকার করেছে মিলন চাকমা শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিল। তাহলে একজন শারীরিক অসুস্থ মানুষের মৃত্যুকে ঘিরে কেন সেনা বিরোধী এই অপপ্রচার? তা আমার বোধগম্য নয়।
দীঘিনালা থানা সূত্রে জানা যায়, মিলন চাকমার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ ৩টি মামলা রয়েছে। এখান থেকে প্রতিয়মান হয় যে, মিলন চাকমা কোন সাধারণ বা নিরস্ত্র ব্যক্তি নয়। তিনি পার্বত্য বিচ্ছিন্নতাবাদী ইউপিডিএফ এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত। সাংগঠনিক পদবি ছিল তার কোম্পানি কমান্ডার এবং সংগঠক।
একজন সন্ত্রাসীদের মৃত্যুর নিয়ে ইউপিডিএফ যে, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে, তা কারোই না বুঝার কথা নয়।