সন্তু লারমা রাষ্ট্রীয় পুলিশ প্রটোকল ব্যবহার করে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদে কেন?

0

মোঃ সোহেল রিগ্যান– জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা), সভাপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (জেএসএস) এবং চেয়ারম্যান পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ। বাংলাদেশ সরকার তাকে উপমন্ত্রী পদমর্যাদা দিয়েছেন। ১৯৯৭ সনের ২-রা ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য চুক্তির শর্ত মোতাবেক সরকার তাকে এই সুবিধা দিচ্ছেন। কিন্তু সে এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে বরাবরই রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপ ও সাম্প্রদায়িকতাসহ জাতিগত ভেদাভেদ তৈরি করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় সন্তু লারমা গতকাল ১ এপ্রিল ২০২২ খ্রিস্টাব্দ (শুক্রবার) বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ১০ম ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তার সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতা ও সম্প্রীতি বিনষ্টকারী বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। যে রানা দাশগুপ্ত প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত৷ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদীকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করতে উৎসাহ দিচ্ছে। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাহাঙ্গামা সৃষ্টি করে ফায়দা লুটে নেওয়ার জন্য তৎপর রয়েছে। ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তার মত এমন ঘৃণিত একজন দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীর সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ও পুলিশ প্রটোকল ব্যবহার করে সন্তু লারমা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কোন কর্মসূচীতে যোগদান করার অধিকার রাখেনা। সাধারণ পার্বত্যবাসীর প্রশ্ন হচ্ছে— সন্তু লারমাকে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ও পুলিশ প্রটোকল কী সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করার জন্য দেওয়া হয়েছে? হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এদেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছে, ধর্মীও ভেদাভেদ, হিংসা বিভেদ ছড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের ব্যানারে সন্তু লারমা কেন? পুলিশের নিরাপত্তা বহর নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠীর সঙ্গে গোপন ও প্রকাশ্যে কার্যকলাপ করার জন্য সন্তু লারমাকে এই বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি। তাকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য৷ সন্তু লারমা এখন যেটা করছে সেটা সত্যি দুঃখজনক, এবং রাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার সামিল।

সন্তু লারমা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড হতে দ্বিখণ্ডিত করতে গভীর ষড়যন্ত্র করছে৷ তার এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে রানা দাশগুপ্ত প্রত্যক্ষভাবে তাকে সহযোগিতা দিচ্ছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় অবস্থানরত ভারতীয় দূতাবাস রানা দাশগুপ্তকে বাংলাদেশের হিন্দুদের দেশের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলতে সহায়তা দিচ্ছে। রানা দাশগুপ্ত আর সন্তু লারমা, তারা দু’জন একই গোয়ালের গরু। সন্তু লারমা ও রানা দাশগুপ্তরা এই দেশ ভেঙে চুরমার করে দিতে সর্বদা ষড়যন্ত্রের জাল বুনে আসছে।

প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর উচিত সন্তু লারমার সবধরনের কার্যক্রমের উপর নজরদারি করা, এবং তার দেশবিরোধী কার্যকলাপ বন্ধে অতিদ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া৷ রাষ্ট্র যদি এটাই করতে ব্যর্থ হয় ভবিষ্যতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের মানচিত্র হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা ‘জুম্মল্যাণ্ড’ নামক রাষ্ট্রে পরিণত হবে৷ সেদিন আর বেশি দেরি নয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More