পাহাড় উপত্যকায় অসহায় বাঙ্গালীর কান্না!

0

মোঃ সোহেল রিগ্যান– একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশে বাঙ্গালীরা যুগ যুগ ধরে পরাধীন৷ নিজ দেশে পার্বত্য বাঙ্গালীরা চাঁদাবাজি, অপহরণ, হত্যা ও খুন-গুম এর শিকার হয়েও ন্যায় বিচার থেকেই বঞ্চিত হচ্ছে। এ অঞ্চলে এ যেন এক নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। পার্বত্য উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন-গুম ও রাষ্ট্রদ্রৌহিতা মূলক কর্মকান্ড কিছুতে থামছে না। যার ফলে পাহাড় উপত্যকায় অসহায় বাঙ্গালীর কান্না কিছুতেই থামছে না।

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার ১নং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড পূর্ব গচ্ছাবিল এলাকার মো. হাশেম (৩৪) এর পৈতৃক ৫ একর সম্পত্তির উপর মিশ্র ফলবাগান ও ফসল চাষাবাদ ছিল।
পরিতাপের বিষয় গতকাল (বৃহস্পতিবার) ১৪ জুলাই ২০২২ খ্রিঃ দিবাগত রাতে মিশ্র ফলবাগান ও ফসল পুরোপুরি কেটে নষ্ট করে ফেলে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ প্রসীত বিকাশ খীসার সন্ত্রাসীরা।

স্থানীয় সূত্রে ও ভুক্তভোগীর তথ্য মতে জানা যায়, ইউপিডিএফ বিভিন্ন সময় মোটা অঙ্গের চাঁদার জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করতো, এবং হুমকি দিত বাঙ্গালীরা যেন এই জায়গা ছেড়ে চলে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত মো. হাশেম এর কেটে ফেলা গাছগুলো হচ্ছে-
কাঁঠাল গাছ- ১১০ টি
আম গাছ- ৪৫ টি
লটকন গাছ- ৩ টি
জলপাই গাছ- ৫ টি
মাল্টা গাছ- ৭ টি
বরবটি ক্ষত – ২০ শতক
কচুক্ষেত- ৪০ শতক
আনারস খেতে- ৫ শতক
কলাগাছ- ৭০ টি
লিচু গাছ- ১২ টি
তার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক এক দেড় লক্ষ টাকা। ।

সন্ত্রাসীরা একই রাতেই মৃত্যু মো.চাঁনমিয়া আকনের ছেলে মোজাম্মেল এর ৪-৫ হাজার আনারস গাছ কেটে নষ্ট করে দেয়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার টাকার মত হয়।

আবুল কালাম সাবেক চেয়ারম্যান ১ নং ইউনিয়ন পরিষদ এর ছেলে মো. সোহাগ মিয়ার আনুমানিক ১৫-২০ হাজার আনারস কেটে নষ্ট করে দেয়। এসময় তারও লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীরা, ক্ষোভের সাথে বলেন, প্রশাসন একটু তৎপর হলে আমাদের ফলবাগান ও ফসল নষ্ট করার দুঃসাহস দেখাতো না ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা। ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, হত্যা, অপহরণ খুন-গুমে অতিষ্ঠ এক জনপদের অধিবাসীরা। যেখানে আমাদের ফসলের নিরাপত্তা নেই সেখানে আমাদের নিরাপত্তা কতটুকু? আমরা সরকার ও প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানাবো অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক।

পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকাংশ মানুষ মনে করে, এ অঞ্চল থেকে অসাংবিধানিক পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দোহাই দিয়ে পাহাড় হতে ২৩৯ টি সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করে। যার ফলে এ অঞ্চলে নিরাপত্তা ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে সেনাবাহিনীর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ক্যাম্প না থাকায় পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি ও অবৈধ অস্ত্র জোরদার বৃদ্ধি পেয়েছে৷ তাই রাষ্ট্রের অখণ্ডতা রক্ষার তাগিদে এ অঞ্চলের অধিবাসীদের নিরাপত্তায় সেনাক্যাম্প পুন:স্থাপন অতীব জরুরী হয়ে পড়ছে৷

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More