(ILO) 1 কনভেনশন (a) কে পাশকাটিয়ে (b) এর প্রযোজ্য শর্ত না থাকার সত্ত্বেও ‘আদিবাসী’ দাবি!

0

মোঃ সোহেল রিগ্যান– ৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস। এ তিনটি আসলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আদিবাসীর মত এদেশের ক্ষুদ্র- নৃগোষ্ঠী বা উপজাতি জাতিসত্বা নিজেদেরকে আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির জন্য ডামাডোল পিটিয়ে নিজেদের সরব উপস্থিতি জানান দেয় আর তথাকথিত গণমাধ্যমগুলো তা সরগরম করে প্রচার করে। আদিবাসী দিবসকে কেন্দ্র করে সুশীল, বুদ্ধিজীবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পত্রপত্রিকার সম্পাদকরা টিভির টকশো ও সভা-সেমিনারে সংবিধান বিরোধী আদিবাসী শব্দ ব্যবহার করে এদেশের উপজাতিদের আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে এনজিও, দাতাসংস্থা, খ্রিস্টান মিশনারী ও পশ্চিমা দাতাসংস্থার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।

বাংলাদেশের উপজাতিরা জাতিসংঘের International Labor Organization (ILO) C169, 1989, সাধারণ নীতি প্রথমপার্ট 1 কনভেনশন এর (a) শর্ত মোতাবেক উপজাতি৷ কিন্তু তারা (a) এর শর্তাবলি মানতে নারাজ এমনকি সুকৌশলে তারা (a) কে এড়িয়ে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর (b) কে অপব্যবহার করছে৷ ২০০৭ সালে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত লক্ষ্যে জাতিসংঘ ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করে।

উক্ত ঘোষণাপত্রে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জাতীয়তা লাভের অধিকার আছে। মূলত, তার সুযোগ-সুবিধা নেয়ার জন্য এবং দেশভাগ করার জন্য (b) শর্তাবলি পূরণ না করার শর্তেও নিজেদের আদিবাসী দাবি করছে। যা দুঃখজনক, এবং রাষ্ট্র ভাগ করার গভীর ষড়যন্ত্রের আলামত।

বাংলাদেশ সংবিধানের ২৩ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ক্ষুদ্র- নৃগোষ্ঠী, উপজাতি বা ক্ষুদ্র জাতিসত্বা হিসেবে তাদের উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের রাষ্ট্রীয় সংবিধান অকার্য করে তারা যে, আদিবাসী দাবি করছে, এবং আদিবাসী প্রচারে সহায়তা করছে তা সংবিধান লঙ্ঘনের ধৃষ্টতা দেখানোর শামিল।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More