বান্দরবান রুমার দুর্গম গ্যালেংগ্যা সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য।

0
223

মোঃ সোহেল রিগ্যান– পার্বত্য বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার দুর্গম ইউনিয়ন হচ্ছে ৪নং গ্যালেংগ্যা। উপজেলা সদর হতে এই ইউনিয়নের দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার। দূর্গম এলাকা হওয়াই গ্যালেংগ্যাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা একদম নেই বললে চলে৷ এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এখানে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য করেছে৷ পান্তলা, সেপ্রু ও কেংগু এলাকার প্রায় গ্রামগুলোতে অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিচরণ লক্ষণীয়। সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়েছে স্থানীয় মানুষ প্রতিটি মূহুর্তে আতঙ্কে থাকে। এখানে অপহরণের ভয় বেশি থাকে৷ গত ২১ জুলাই ২০২২ খ্রিঃ ৮ নং ওয়ার্ডের পানতলা পাড়া এলাকা হতে বর্তমান মেম্বারসহ ২ ব্যক্তিকে বাড়ি হতে ডেকে অপহরণ করা হয়।

অপহৃতরা পানতলা পাড়ার মংপ্রুসাই মারমার ছেলে মংসাচিং মারমা (৫০) অন্যজন হল এক ই এলাকার মংঙৈচিং মারমা।
অপহরণকারী হচ্ছেন, শৈহ্লামং মার্মা (৪৫) ও নুমং মার্মাসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন। উক্ত সন্ত্রাসীরা রাতের বেলায় ঘর হতে ডেকে নিয়ে যায় বলে অপহৃত মংসাচিং মার্মার স্ত্রী আবু মার্মা এবং মংঙৈচিং মার্মার স্ত্রী হ্লাসাংপ্রু মার্মা অভিযোগ করেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, এ পাড়ায় দিনে দুপুরে প্রকাশ্যো সন্ত্রাসীরা ভারী অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াই। তারা রাত্রে যে ঘরে ঘুমাই সে ঘর তাদের জন্য ৩-৪ আইটের এর সুস্বাদু খাবার রান্না করতে হয়। দেশী মোরগ, বিভিন্ন মাছ ও শুটকি ভর্তা বাধ্যতামূলক রাখতে হয়। এ সুস্বাদু খাবার ছাড়া সন্ত্রাসীরা ভাত খায়না। কেউ যদিও সন্ত্রাসীদের কথায় অপারগতা প্রকাশ করে তাকে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হয়। এজন্য তাকে মোটা অঙ্গের টাকা জরিমানা করা হয়। আর যে বাড়িতে রাত্রে থাকে সে বাড়িতে যুবতী মেয়েদের সন্ত্রাসীদের ভোগ করতে দিতে হয়। পরিবারগুলো এই জুলুম অত্যাচার, অন্যায়-অবিচার এর বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন না। একদম নীরব বোবার কান্নার মত। তাদের দেখার যেনো কেউ নেই। তারা অপহরণ ও চাঁদাবাজির জাঁতাকল পিষ্ট এবং তাদের মেয়েগুলো ভোগ্যপণ্য হিসেবে ব্যবহারিত হয়। এখানে উপজাতি সন্ত্রাসীদের রাজত্ব কায়েম চলে। এ রাজত্ব কায়েম বন্ধ করার যেনো কেউ নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামে ভারী অস্ত্রের ঝনঝনানি, বারুদের গন্ধ এবং পাহাড়ের আঁকে বাঁকে লাশের সারি তো নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি মোকাবেলা করে বেছে থাকতে হচ্ছে পাহাড়ি জনপদের অধিবাসীদের।

আগের পোস্টশান্তিরক্ষা মিশনে সেনা নিয়োগ বন্ধ রাখতে ৬ জুম্ম সংগঠনের আহ্বান-উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
পরের পোস্টহাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী এবং স্বাধীন বাংলাদেশের রুপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন