কাউখালীর মাটিতে কোন অস্ত্রবাজ ও চাঁদাবাজদের ঠাঁই নেই।
![](http://hillnewsbd.com/wp-content/uploads/2022/08/maxresdefault-1-1024x576-1.jpg)
কাউখালীর দুর্গম এলাকাগুলোতে বিগত বছরগুলোতে চাঁদাবাজ ও অস্ত্রবাজদের মহড়া ছিল এবং তাদের রাজত্ব কায়েম ছিল৷ সাধারণ মানুষ তাদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে সেনাবাহিনীর রাঙ্গামাটি সদর জোন কমান্ডার মহোদয় এর নির্দেশনায় সেনাটহল বৃদ্ধি হওয়াই উক্ত এলাকাগুলোতে চাঁদাবাজদের আনাগোনা বহুগুণে কমেছে। মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।
কিছু কিছু এলাকায় সন্ত্রাসীরা প্রশাসনকে বেকায়দায় ফেলতে কৌশল অবলম্বন করে তৎপর। রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলায় কেউ যদি সন্ত্রাসী কর্তৃক চাঁদাবাজির হয়রানির শিকার হোন বা কেউ এর জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নির্বিঘ্নে সেনাবাহিনীর সহযোগীতা নিন। চাঁদাবাজ ও অস্ত্রবাজদের কাউখালীর মাটিতে ঠাঁই নেই। যারা সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নামে বিভ্রান্তি ছড়াতে মানুষদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাদের নামে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আপনাকে অবশ্যই সহযোগিতা করবে। বিভিন্ন কুচক্রী মহল দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ও কুৎসা রটাতে বিভিন্নভাবে তৎপর। তাই সচেতন নাগরিক হিসেবে সবাইকে সজাগ থাকার অনুরোধ। পাহাড়ি কিংবা বাঙ্গালী উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সহবস্থান সৃষ্টি করতে সেনাবাহিনী কাজ করছে৷ ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী চাঁদাবাজ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনকারী সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনেছে৷ কেউ চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসবাদ করে শান্তি-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটালে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা অবশ্যই সেনাবাহিনী নেবেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী শান্তি-সম্প্রীতি, উন্নয়ন ও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে৷ এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সেনাবাহিনী ভূমিকা অপরিসীম৷
সেনাবাহিনীর রাঙ্গামাটি সদর জোন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে জোনের আওতাধীন এলাকাসমূহে নিয়মিত সেনাটহল জোরদার করেছে। সেনাবাহিনী অসহায় হতদরিদ্র মানুষের নিকট বিভিন্ন সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। সেনাদের এ মহানুভবতা ও প্রশংসা এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে।