পাহাড়ের ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী বাবলু চাকমা!

0

পাহাড়ী জনপদের আতঙ্কিত নাম বাবলু চাকমা। রাঙ্গামাটি অঞ্চলের জনসাধারণ বাবলু চাকমা হতে মুক্তি চায়। বাবুল চাকমা রাঙ্গামাটি নানিয়ারচর উপজেলার মং খোলা এলাকার সুনীল চাকমার ছেলে। তার স্ত্রী সরকারি প্রাঃ স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা। পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সশস্ত্র সন্ত্রাসী ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবলু চাকমার বর্তমান অবস্থান কাউখালী উপজেলার ৩নং ঘাগড়া ইউনিয়নের কুজইছড়ি মইনে এলাকায়। যিনি পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সশস্ত্র ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের কাউখালী ইউনিটের চেলাছড়া সাব-পোস্ট পরিচালক। উক্ত অঞ্চলে খুন-গুম, চাঁদাবাজি, অপহরণ, ধর্ষণ ও টেন্ডারবাজি, অস্ত্রবাজীসহ রাষ্ট্র বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে বাবলু চাকমা জড়িত রয়েছে বলে একাধিক তথ্যমতে জানা যায়। সরেজমিনে কাউখালীর উপজেলার উল্টোপাড়া, চেলাছড়া, লেভার পাড়া, হারাঙ্গীপাড়া, নিজপাড়া, মইনপাড়া, কুজইছড়ি, বাদলছড়ি, নোয়াআদম ও জনুমাছড়া ঘুরে জানা যায় সাধারণ উপজাতীয়রা সন্ত্রাসী বাবলু চাকমার ভয়ে আতঙ্কে রয়েছে৷ বাবলু চাকমার নির্যাতন-নিপিড়ন দীর্ঘদিন থেকে কাউখালীর পাহাড়ি এলাকায় চলে আসছে। বাবলু চাকমা (৩৭) গংদের অস্ত্রের ভয়ে অনেক উপজাতি মুখ বন্ধ করে আছে। চাঁদাবাজির তার মূল উৎস হচ্ছে- ‘অবৈধ কাঠ, বাঁশ ও সাপ্তাহিক হাটবাজারে বিক্রি করা পাহাড়ি পণ্য’। বাবলুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪টি মামলা রয়েছে বলেও জানা যায়।

এক সময় বাবলু রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান অঞ্চলের সবচেয়ে বড়ধরণের হত্যাকান্ডের নেতৃত্বদাতা ছিলো। নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা ও বর্মাসহ ৬ হত্যাকান্ডে সশস্ত্রভাবে অংশ গ্রহনকারী বাবলু চাকমা।

বাবলু চাকমার বিরুদ্ধে থাকা কয়েকটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।

১. কালোময় চাকমা হত্যা মামলা, বাদি অ্যাডমিশন চাকমা নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর থানায় মামলাটি করেন ২০১৮ সালের ২৬ শে এপ্রিল। সেই মামলার আসামীদের বিচারের জন্য ১৫ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশন দিয়েছেন রাঙ্গামাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ফারুকের আদালত।

২. নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক বর্মাসহ ৬ হত্যাকাণ্ডের নানিয়ারচর থানার ২টি মামলা ৬/৫/২০১৮ খ্রিস্টাব্দের আসামী।

৩. কাউখালী থানার অস্ত্র আইনের মামলা নং ০৫, তাং ২১-১১-২০২০ খ্রিস্টাব্দ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More