রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ৫/৬ টি পাহাড়ী গ্রামের জনসাধারণের যাতায়াতের অন্যতম সড়ক পথ কাউখালী থেকে বটতলী সড়ক। এ সড়কের গ্রামগুলো হলো- বটতলী, বরইছড়ি, নাভাঙ্গা, ডোবাকাটা ও বর্মাছড়িসহ বেশকয়েকটি পাহাড়ি গ্রাম। স্থানীয় সূত্রের তথ্য মতে জানা যায়, অদ্য ১৩ অক্টোবর ২০২২ খ্রিঃ (বৃহস্পতিবার) সাপ্তাহিক হাটবাজার দিন কাউখালী বটতলী, নাভাঙ্গা, বরইছড়ি, ডোবাকাটা ও ভিতরের এলাকার পাহাড়ি জনসাধারণ বিচ্ছিন্নতাবাদী ইউপিডিএফ প্রসিত মূল গ্রুপের প্রবল চাপে পড়ে সিএনজি অটোরিক্সা উঠা বর্জন করেছে৷ সূত্রটি আরো জানিয়েছে, ইউপিডিএফ সিএনজি চালক ও কাশখালীর ৪-৫টি দোকান হতে বাৎসরিক ও মাসিকহারে চাঁদা চেয়েছে। অনেক সিএনজি ড্রাইভার এবং দোকানদার নির্ধারিত সময়ে চাঁদা পরিশোধ করেনি। তাই অদ্য তারিখ ভোর সকাল হতে সিএনজিতে উক্ত জনপদের পাহাড়ী যাত্রীরা উঠছেন না। কাউখালী উপজেলার সদর হতে কাশখালী, বটতলী ও নাভাঙ্গাসহ ভিতর এলাকার পাহাড়ীদের পায়ে হেঁটে যেতে দেখা যায়।
ইউপিডিএফ এর চাঁদাবাজির কারণে ২০১৯ সালেও এই সড়কে যানবাহনে পাহাড়ি যাত্রী উঠা-নামা বন্ধ ছিলো। এর পর আস্তে আস্তেই সবকিছু স্বাভাবিক হয়। তখন অনেক ভোগান্তির শিকার হয় সাধারণ জনগণ। ৩ বছর পর আজ আবার বাঙ্গালী যানবাহনে পাহাড়ি যাত্রী উঠতে না দেওয়ার কারণে অনেক বয়োবৃদ্ধা পাহাড়ি নারী-পুরুষ ৭/৮ কিলোমিটার সড়ক তীব্র রোদের মধ্যে পায়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে। বিষয়টি সরেজমিনে দেখে স্থানীয় দায়িত্বশীল এক ব্যক্তি জানান, এইটি অমানবিক এবং নিষ্ঠুর আচরণ। ইউপিডিএফ এর অনিয়ন্ত্রিত চাঁদাবাজির ফলে সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার। ইউপিডিএফ স্থানীয় হেডম্যান, কার্বারী ও জনপ্রতিনিধিদের চাপ প্রয়োগ করে সিএনজি উঠা বর্জন করেছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, কিছু কিছু পাহাড়ি সিএনজিতে উঠলেও ইউপিডিএফ তাদের হুমকি দিয়ে নামিয়ে যেতে বাধ্য করছে। ইউপিডিএফ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয় কেউ যদি বাঙ্গালীর সিএনজিতে উঠে তাকে ২০ বেত এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে৷ এই ভয়ে পাহাড়ি জনসাধারণ সিএনজি বর্জন করতে বাধ্য হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিএনজি অটোরিক্সা চালক জানান, ইউপিডিএফ পূর্বে বাৎসরিক তিন হাজার টাকা চেয়েছে। বর্তমানে অতিরিক্ত চাঁদা দাবি করছে তা আমাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের অনেক চালককে ইউপিডিএফ চাঁদা দেওয়ার জন্য হুমকি কিন্তু চাঁদা না দিলে যে সিএনজি বর্জন করবে এধরণের কোন পূর্ব ঘোষণা দেয়নি। তাই আমরা যেবিপাকে পড়েছি তেমনি সাধারণ যাত্রীরাও চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে।
এই সমস্যা সমাধানে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি৷