মোঃ সোহেল রিগ্যান– শান্তি সম্প্রতি ও উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী চুক্তি বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। সেনাবাহিনীকে পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করতে গিয়ে শত প্রতিবান্ধকতা ও অপপ্রচার কুৎসাসহ নানান ষড়যন্ত্রের মুখামুখি হতে হচ্ছে। এত বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হওয়ার স্বত্বেও সেনাবাহিনী তাদের স্বনীতি বা অবস্থান হতে বিন্দুমাত্র সরেনি। পার্বত্য বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো বারবার সেনাবাহিনী নিয়ে মিথ্যাচারে লিপ্ত। সাম্প্রতিক সময়ে বান্দরবানের কুকি-চিনকে যেভাবে সেনাবাহিনী কোণঠাসা করেছে ঠিক একই ভাবে জেএসএস সন্তুর সন্ত্রাসীদেরও করা হবে৷ অভিযান এখনো চলছে আরো চলবে। তাই এত লাফালাফি করে লাভ নেই। তার পরবর্তী টার্গেট হচ্ছে ইউপিডিএফ তাদেরও একই পরিণতি ভোগ করতে হবে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়। জঙ্গি ও কুকি চিন থেকে উদ্ধারকৃত অস্ত্র নিয়ে যারা উপহাস করছে তাদের বলতে চাই সেনাবাহিনী তথা সরকার চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসীদের এক নিমিষেই শেষ করে দিতে পারে। কিন্তু তা সরকার শুধু করছে না একটি মাত্র কারণে। কারণটি হচ্ছে কুকি-চিন, জেএসএস ও ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা সাধারণ পাহাড়ি জনসাধারণকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। সরকার যখন সাঁড়াশি অভিযান করে তখন তারা লোকালয়ে আশ্রয় গ্রহণ করে৷ এমন পরিস্থিতিতে সেনারা অভিযান করলে সাধারণ মানুষ ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেনাবাহিনী একটি দেশপ্রেমিক এবং মানবতাবাদী বাহিনী৷ তারা জনসাধারণের ক্ষতিসাধন করে কোন অভিযান চালাতে চায়না। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জেএসএস ও ইউপিডিএফ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানান প্রোপাগান্ডা ও কুৎসা বিভ্রান্তি রটিয়ে জনমনে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করার ব্যর্থ চেষ্টা করছে৷ যা সম্পর্কে সেনাবাহিনী তথা সরকার সচেতন।
সেনাবাহিনী নিয়ে প্রোপাগান্ডা ও কুৎসা রটিয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করলে অচিরেই সন্তু লারমার মন্ত্রী পদমর্যাদা কেড়ে নেওয়া হবে। খেলা হবে… খেলা হবে… পরিশেষে বলতে চাই সাধু সাবধান।