এপারে আদিবাসী ওপারে সেটেলার!

0
96
ছবি: মেজর নাসিম

ছবি: মেজর নাসিম

একই নৃগোষ্ঠী কিন্তু দুই ধরনের রাজনৈতিক বাস্তবতা। আমি হিলভয়েসে পাহাড়িদের অপপ্রচারের প্রেক্ষিতে কথাটি বলছি। তারা নাকি এদেশে মানবিক মর্যাদা পায়নি।

পাহাড়িরা বর্তমান সময়েই মানবিক মর্যাদা পেয়েছে। কারন সামন্ত শাসনের মতো এরা দেওয়ান রোয়াজা রাজার বাড়িতে সপ্তাহে দু’বার বেগার খাটে না।দেওয়ানদের পালকি কাঁধে বয়ে বেড়ায় না, ছাতা না মুড়ে দেওয়ান বাড়ির সামনে দিয়ে জুতা পরে হাটতে পারে, হাটুর নীচে ধূতি পরে, ঘরের মধ্যে পার্টীশন বেড়া দিতে পারে, দেওয়ান রোয়াজা রাজর বাড়ির পূজা পার্বনে শুকুরের রান দিতে হয় না। স্কুলে ছেলে পাঠাতে দেওয়ান কাকুদের অনুমতি লাগে না।
১৮৬৩ সালে সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি স্কুল থেকে আজ পার্বত্য চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ, বিশ্ব বিদ্যালয় এসব তো হারামি বাঙালীদের অবদান, স্বাধীন বাংলাদেশের অবদান। রাজাকার ত্রিদিব রায় তো এসব চায়নি, বাংলাদেশ স্বাধীন হোক। তাই পাকিস্তানের মাটিতে শুয়ে আছেন। যাবার আগে যোগ্যপুত্রকে দায়িত্ব দিয়েছেন জাতিসংঘের আদিবাসী ফোরামে যেয়ে বাংলাদেশ ও সেনাবাহিনীর উপর সেংশন আরোপ যেন করা হয়। ১৮৬০ সালে বৃটিশ সরকার ১২৩ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলো পাহাড়ীদের শিক্ষার জন্য। আজ বাংলা সরকার হাজার কোটি টাকা খরচ করছে “অর্ধ-উলঙ্গ” ( এম এন লারমার ১৯৭৩ সালে সংসদে দেওয়া বক্তৃতা) পাহাড়িদের উচ্চ শিক্ষিত করার জন্য। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আজ ঢাকার রাজপথে দাপিয়ে বেড়ানো এসব জুম্মা নেংটী পরে জুমে যেত ধান কাটতে। আজ এখানে অধিকার নেই বলে চেচাচ্ছে।, ওপারে অরুনাচলে চাকমাদের তো নাগরিকত্বই নেই। ওখানে ওরা সেটেলার এখানে এরা আদিবাসী। আর বাঙালী সেটেলার।

তবু্ও “হিচ্চু ন পেই, মুই!!
এ বাংলায় এরা সচিব ঐ বাংলায় তো আধার কার্ডের জন্য ” আর পি সি”র ( রেসিডেন্সি প্রুভ সার্টিফিকেট) ধর্না দিচ্ছে। এ বাংলায় এরা সেনাবাহিনীতে জেনারেল ওপারে তো সিপাহি পদেও নাই। আসলেই পাহাড়িদের কোন অধিকার নেই এখানে। একটা রোড ম্যাপ বানিয়ে এদের অরুনাচলে যাওয়ার পথ করে দিতে হবে।।

পেয়েছে। কারন সামন্ত শাসনের মতো এরা দেওয়ান রোয়াজা রাজার বাড়িতে সপ্তাহে দু’বার বেগার খাটে না। দেওয়ানদের পালকি কাঁধে বয়ে বেড়ায় না, ছাতা না মুড়ে দেওয়ান বাড়ির সামনে দিয়ে জুতা পরে হাটতে পারে, হাটুর নীচে ধূতি পরে,ঘরের মধ্যে পার্টীশন বেড়া দিতে পারে,দেওয়ান রোয়াজা রাজর বাড়ির পূজা পার্বনে শুকুরের রান দিতে হয় না। স্কুলে ছেলে পাঠাতে দেওয়ান কাকুদের অনুমতি লাগে না।
১৮৬৩ সালে সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি স্কুল থেকে আজ পার্বত্য চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ, বিশ্ব বিদ্যালয় এসব তো হারামি বাঙালীদের অবদান, স্বাধীন বাংলাদেশের অবদান। রাজাকার ত্রিদিব রায় তো এসব চায়নি, বাংলাদেশ স্বাধীন হোক। তাই পাকিস্তানের মাটিতে শুয়ে আছেন। যাবার আগে যোগ্যপুত্রকে দায়িত্ব দিয়েছেন জাতিসংঘের আদিবাসী ফোরামে যেয়ে বাংলাদেশ ও সেনাবাহিনীর উপর সেংশন আরোপ যেন করা হয়। ১৮৬০ সালে বৃটিশ সরকার ১২৩ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলো পাহাড়ীদের শিক্ষার জন্য। আজ বাংলা সরকার হাজার কোটি টাকা খরচ করছে “অর্ধ-উলঙ্গ” ( এম এন লারমার ১৯৭৩ সালে সংসদে দেওয়া বক্তৃতা) পাহাড়িদের উচ্চ শিক্ষিত করার জন্য। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আজ ঢাকার রাজপথে দাপিয়ে বেড়ানো এসব জুম্মা নেংটী পরে জুমে যেত ধান কাটতে। আজ এখানে অধিকার নেই বলে চেচাচ্ছে।, ওপারে অরুনাচলে চাকমাদের তো নাগরিকত্বই নেই। ওখানে ওরা সেটেলার এখানে এরা আদিবাসী। আর বাঙালী সেটেলার।

তবু্ও “হিচ্চু ন পেই, মুই!!
এ বাংলায় এরা সচিব ঐ বাংলায় তো আধার কার্ডের জন্য ” আর পি সি”র ( রেসিডেন্সি প্রুভ সার্টিফিকেট) ধর্না দিচ্ছে। এ বাংলায় এরা সেনাবাহিনীতে জেনারেল ওপারে তো সিপাহি পদেও নাই। আসলেই পাহাড়িদের কোন অধিকার নেই এখানে। একটা রোড ম্যাপ বানিয়ে এদের অরুনাচলে যাওয়ার পথ করে দিতে হবে।।

লেখক :মেজর নাসিম (অব:)
ঢাকা
২৯-১১-২০২২ খ্রিঃ

আগের পোস্টপাহাড়িদের অপপ্রচার আমাদের নিরব ভূমিকা।
পরের পোস্টপার্বত্য চট্টগ্রাম, পার্বত্য চুক্তি- প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা-মেজর জেনারেল মো: নাঈম আশফাক চৌধুরী।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন