“শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন” এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবহিনী। দুর্গম পাহাড়ের চূড়ায় শিক্ষা, চিকিৎসার অভাবে দিনাতিপাত করা মানুষের পাশে সবসময়ই দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি খবর থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানতে পারে চিকিৎসার অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করা গরিচাং চাকমার কথা। ২০২২ সালের জুন মাসে জুম চাষ করতে যাওয়ার সময় বিষাক্ত সাপ দংশন করে গরিচাং চাকমার বাম পায়ে। সঠিক চিকিৎসার অভাবে তার বাম পা এর মাংস পেশীতে পচন ধরে। গরিচাং চাকমার এই করুন অবস্থা দেখে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করেন যাতে তার সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। আর্তমানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিলাইছড়ি জোন।
বিলাইছড়ি জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মোঃ আহসান হাবিব রাজীব, পিপিএম, পিএসসি এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় গরিচাং চাকমার চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়ভার গ্রহণ করে বাংলাদেশ সেনাবহিনীর বিলাইছড়ি জোন। বিলাইছড়ি জোনের মেডিকেল টিম সরজমিনে রোগীকে পরীক্ষা করে এবং রোগীর চিকিৎসা শুরু করে। রোগীর উন্নত চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী বিভাগ এবং পরবর্তীতে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগে রোগীর ডেব্রাইডমেন্ট ও স্কিন গ্রাফটিং সম্পন্ন করে। বিলাইছড়ি জোনের মেডিকেল টিম অস্ত্রপাচারকৃত অংশের নিবিড় পর্যবেক্ষন ও পরিচর্যার মাধ্যমে দীর্ঘ ৪ মাস পর গরিচাং চাকমাকে তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়। গরিচাং চাকমা আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পেরে খুবই আনন্দিত। তিনি ও তার পরিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি অশেষ কৃতঙ্গতা প্রকাশ করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত জনগণের পাশে তাদের কষ্ট লাঘবে বিলাইছড়ি জোন সর্বদা কাজ করে যাবে।