পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালিদের ওপর হামলা হলে তার বিচার হয়না।

0

পার্বত্য চুক্তির পূর্বে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নির্বিচারে বাঙালিদের হত্যা ও হামলা করেছে। চুক্তির পর সন্ত্রাসীরা দল -উপদলে বিভক্ত হয়ে একই কায়দায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। মূলত পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচারের সংস্কৃতি চর্চা নেই বললে চলে। এখানে মানুষ মারলে তার বিচার হয় না৷ বেশ করে উপজাতি কর্তৃক কোন বাঙালি হত্যা কিংবা নির্যাতনের শিকার হলে এর জন্য কোনো বিচার হয়না। রাষ্ট্রীয় আইন নীতিমালা থাকার পরও যেখানে অপরাধ করলে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় না, সেখানে সন্ত্রাসীরা নির্ভয়ে অপরাধ করতে উৎসাহিত বোধ করাটাই স্বাভাবিক বিষয়। ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯৭-২ রা ডিসেম্বর পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালীদের উপর গণহত্যা চালিয়েছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির জেএসএস সন্তু লারমার তথাকথিত শান্তিবাহিনী। এই গণহত্যায় যারা নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের ৯৫ শতাংশ বাঙালি। তৎকালীন গণহত্যা ও বাঙালি নিধনের জন্য উপজাতি সন্ত্রাসীদেরকে যদি বিচারের মুখোমুখি করা হতো তাহলে আজকে পার্বত্য বাঙ্গালীরা হত্যাযজ্ঞ ও হামলা-মামলার শিকার হতে হতো না। পার্বত্য চট্টগ্রামে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও খুনখারাপি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। পাহাড়ে চলে রক্তের হোলি খেলা, এখনো বারুদের গন্ধ বের হয় পাহাড়ের আকাশ বাতাস ভারী হয়। রাষ্ট্রের উদাসীন নীতি ও উপজাতিদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শন ও অতিরঞ্জিত সুযোগ-সুবিধা দেয়ার পরেও এই অকৃতজ্ঞ উপজাতিদের বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য আসেনি। বাঙ্গালীদের প্রতি বিন্দুমাত্র ভালোবাসা জন্মায় নি৷ পার্বত্য চুক্তির পরও সন্ত্রাসীরা সে পূর্বের ন্যায় চাঁদাবাজি, খুন-গুম, নারী ধর্ষণ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে৷

পার্বত্য চুক্তি লঙ্ঘন ও বাঙ্গালীদের প্রতি এই অবিচারের জন্য কোনো জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়নি সন্ত্রাসীদের। যদি সন্ত্রাসীদের জবাবদিহিতা করা হতো তাহলে হয়তো এভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালিরা হামলা শিকার হতে হতো না।

প্রতিদিন পার্বত্য চট্টগ্রামের কোথাও না কোথাও থেকে খবর আসে বাঙালিরা উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছে৷ এ খবর শুনতে শুনতে এখন আমরা পাহাড়ের মানুষ অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এখন আর পাহাড়ে বাঙ্গালী হত্যাকাণ্ড কিংবা নির্যাতনের শিকার হলে প্রতিবাদ হয়না এবং বাঙ্গালীরা একত্রিত হয় না। বাঙালিরা মেনে নিয়েছে এটা তাদের ভাগ্য। যেখানে রাষ্ট্রের টনক নড়ে না সেখানে পাহাড় উপত্যকায় নিরস্ত্র বাঙালির কিবা করার আছে?

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More