বৃহস্পতিবার (১৫ জুন ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টায় রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী ঘাগড়া-বড়ইছড়ি কাপ্তাই সড়কের কুকিমারা আপাই মারমার আম বাগান সংলগ্ন এলাকায় যাত্রীবেশি জেএসএস সন্ত্রাসীরা একটি সিএনজি অটোরিক্সা আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এসময় সন্ত্রাসীদের দেয়া আগুনে চট্টগ্রাম থ-৭৪৯৯ এই নাম্বারের সিএনজি অটোরিক্সাটি সম্পূর্ন পুড়ে যায় বলে জানিয়েছেন, বড়ইছড়ি সিএনজি সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম।
সিএনজি চালক চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লিচুবাগান সমিতির মো: আলম প্রকাশ রকি।
পুড়িয়ে দেওয়া সিএনজির চালক রকি জানান, সন্ধ্যায় লিচুবাগান হতে ২ জন উপজাতি যাত্রী আমাকে বড়ইছড়ি বাজার যাবার জন্য ঠিক করে। বড়ইছড়ি বাজারে যাওয়ার সাথে সাথে আমাকে পিছন হতে এলজি অস্ত্রধরে সামনে যেতে বলে। তারপর আমি বড়ইছড়ি-ঘাগড়া সড়ক ধরে গাড়িটা চালাতে থাকি। পরে তারা আমাকে কুকিমারার আগে থামতে বলে। সেখানে আরোও ৩জন উপজাতীয় যুবক উপস্থিত ছিল। তারা সকলে আমার মোবাইল, টাকা কেড়ে নিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে একটা পাহাড়ে নিয়ে যায়। আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং গালিগালাজ করে। তখন তারা নীচে নেমে এসে সিএনজি টা চালিয়ে নিয়ে যায়। পড়ে আমি পাহাড় হতে নেমে সড়কে একটা সিএনজি তে উঠে চালককে ঘটনাটি জানিয়ে তার সহায়তায় আমি লিচুবাগান চলে আসি। এসময় সিএনজি চালক রকিকে বেশ আতঙ্কগ্রস্থ অবস্থায় দেখাচ্ছিলো।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) সন্তু লারমার গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সিএনজি অটোরিক্সা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে শুধুমাত্র দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে। জুন মাস উপলক্ষে চালকদের এর আগে বাৎসরিক চাঁদার টোকেন সংগ্রহ করার জন্য বলা হলেও চালকরা চাঁদার টোকেন সংগ্রহ করেননি। যার কারণে ভয়ভীতি দেখানোর অংশ হিসেবে সিএনজিটি পুড়িয়ে দিয়েছে বলে জানা যায়।
হতদরিদ্র সিএনজি চালক আরো জানিয়েছে, সন্ত্রাসীরা তার উপার্জনের বাহন জ্বালিয়ে তাকে পথে বসিয়ে দিয়েছে। সেই সিএনজি চালিয়ে কোনভাবেই পরিবার পরিজনের ভরণপোষণ করছিলেন।
উল্লেখ এর আগে গত ১০ জুন রাঙ্গামাটি দেপ্পছড়ি সড়কে সন্ত্রাসীরা একটি সিএনজি জ্বালিয়ে দেয় তার ঠিক এক সাপ্তাহ পার না হতেই আরেকটি সিএনজি জ্বালিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা।