পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু মানুষের মধ্যে আমি পশুত্ব দেখি এরা সেনা নিহত হলে উল্লাস প্রকাশ করে!
পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থে থাকছে না। সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রের অখণ্ডতা রক্ষার স্বার্থে সবকিছুই বিসর্জন দিয়ে থাকছে। এখানে অন্যান্য বাহিনী ও সংস্থা আছে তারা তাদের কর্তব্য পালনে সেনাবাহিনীর মত এতো আত্মবলিদান ও ত্যাগ স্বীকার করেনি। একথা আমি হলাম ঘোষণা করে বলতে পারবো। সেনাবাহিনীর অবশ্যই নিজেস্ব আইন, স্বনীতি আছে। তারা তার উপর সরকারের আদেশ-নির্দেশ মেনে চলতে হয়। এক কথায় স্কেলের সমীকরণটি মেনে চলতে হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ গোষ্ঠীগুলো (সুশীল সহ অনেকের মতে তারা বেছে থাকার তাগিদে সংগ্রাম করছে) আমরা যাদেরকে বলি দেশদ্রোহী বিশ্বাসঘাতক। তাদেরকে দমনে সেনাবাহিনীকে যতটুকু আদেশ-নির্দেশ দেওয়া হয় সেনাবাহিনী ততটুকুই পালন করার চেষ্টা করে। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সেনাবাহিনীকে অনেক কিছু মোকাবেলা করতে হয়। সেনাবাহিনীকে অস্ত্র দেওয়া হয়েছে ঠিক কিন্তু পুলিশের মত ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি। পুলিশের মত সেনাবাহিনীর বডি নিরাপত্তা আইন নেই অথাৎ আত্মরক্ষা আইন নেই। কাউকে মামলা দেওয়ার মত স্বাধীনতা বা সুযোগ নেই। সেনাবাহিনীকে অনেক বাইন্ডিং এর মধ্যে কাজ করতে হয়। সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করতে গিয়ে পাহাড়ে সেনাবাহিনীকে বলি হতে হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আগে পরে কত সেনাসদস্যকে প্রাণ দিতে হয়েছে। তার সঠিক ক্ষতির হিসাব কেউ দিতে পারবে না। কত আত্মত্যাগ এবং বিসর্জনের বিনিময় নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পার্বত্য চট্টগ্রাম আমরা অবলোকন করি তা কী আমরা অনুভব করি? সেটা পাহাড়ি হোক বাঙ্গালী হোক কেউ অনুভব করিনা। আজকে যে, পাহাড়ে উন্নয়ন হচ্ছে এতে কী সেনাবাহিনীর অবদান নেই? ১৯৭৯ সালের পূর্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে সড়ক যাতায়াত ব্যবস্থা ছিল না, এবং এত এতো স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল ও মানুষের জীবনে প্রয়োজনীয় সরকারি সুযোগ-সুবিধা ছিল না। এটা কেউ চিন্তা করছি না, এতসহজেই কীভাবে হয়ে গেল? এই কথা কী কেউ স্মরণ করে? পার্বত্য চট্টগ্রামের বেশিভাগ এলাকা ছিল জনমানবহীন। এই গহীন অরণ্যে সেনাবাহিনী সড়ক নির্মাণ করেছে মানুষ চলাচলের মত উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। সেনাবাহিনীর পার্বত্য চট্টগ্রামের এই অবদান অনস্বীকার্য। পাহাড়ে যখন রাস্তা ছিল না, বিদ্যুৎ যাওয়ার পথ ছিল না, ম্যালেরিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না, পর্যটক যাওয়ার সুযোগ ছিল না তখন তো এই অচল অবস্থান দূর করার জন্য কাউকে এগিয়ে আসতে দেখিনি। এখন কিছু উপজাতি, বাঙ্গালী, সুশীল, প্রগতিশীল ও মুক্ত চিন্তার ধারক বাহকদের দেখি পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে কোন একটা ইস্যু সামনে এলেই সেনাবাহিনীকে গালমন্দ করতে; সেনাবাহিনী নিহত হলে দেখি উল্লাসের মধ্য দিয়ে নিজেদের পশুত্ব প্রকাশ করতে! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের পশুত্ব প্রকাশ পায় বেশি।
উপজাতিদের পাশাপাশি কিছু বাঙ্গালী কুলাঙ্গারকেও দেখি সেনাবাহিনী নিহত হলে উল্লাস প্রকাশ করতে। এই কুলাঙ্গার, মীরজাফররা সেনাবাহিনীর অবদানকে অস্বীকার করে। সেনাবাহিনী শত বাধা, বিপত্তি ও নানান প্রতিকূলতার মধ্যেও পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে এবং রাষ্ট্রের অখণ্ডতার স্বার্থে প্রতিনিয়ত আত্মবলিদান দিচ্ছে। সেনাবাহিনীর এই অবদানকে কোনো বাংলা মায়ের সন্তান অস্বীকার করতে পারেনা। অস্বীকার করতে পারে শুধু তারা যারাই কুলাঙ্গার, মীরজাফর।