সম্প্রতি সেনাবাহিনী, বিজিবি সহ অন্যান্য প্রশাসনের সম্মিলিত যৌথ অভিযান পরিচালনা করায় কথিত নব্য সৃষ্ট সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন আর্মি এখন নিঃশেষ হওয়ার পথে। নিজ জাতিসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকদের উপর নিজস্ব স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে অনায়াসে বিভিন্ন উপায়ে নির্যাতন-নিপীড়ন ও অত্যাচার করার এমন দৃষ্টান্ত বিশ্বে বিরল। নিজস্ব আস্থানা,ঘাঁটি ও প্রয়োজনীয় রশদ ভান্ডার সহ জনমনে আতঙ্ক বিরাজ সৃষ্টিকরার ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্ত্র সরঞ্জামাদি গুলো যৌথ অভিযানে প্রশাসন এর জিম্মায় চলে যাওয়ায় বেহাল অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই কুকি চিন আর্মির।
দিশেহারা হয়ে এই কুকিচিন এখন তাদের মূল ঘাঁটি থেকে বিতাড়িত হয়ে রোয়াংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান করছে। নতুন করে সেখানে সৃষ্টি করছে নরকীয় কর্মকাণ্ড। চরম বিপদমুখী হয়ে রয়েছে অত্র এলাকার জনসাধারণেরা।
নিজস্ব অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখা এবং প্রশাসনের হাত থেকে পালিয়ে বেঁচে থাকার লক্ষ্যে রোয়াংছড়ির ক্যাপলং এবং খামতাম পাড়ায় বসবাসরত বম ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের সাধারণ জনগণদের অস্ত্রের মুখে হুমকি ও জিম্মি করে দুই পাড়ায় চলাচলের প্রধান রাস্তাটিকে চলাচলের অনুপযোগী করতে জোরপূর্বক নিরীহ মানুষদের দিয়ে রাস্তা নষ্ট করার কাজ করাচ্ছে কুকি চিন আর্মিরা। জীবনের মায়ায় এই চরম অন্যায় করতে বাধ্য হচ্ছে এই সাধারণ মানুষ গুলো। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া কিছু প্রতিবাদের লোক তাদের বিপক্ষে কথা বললে হত্যার হুমকি এবং নির্মম অত্যাচার করছে।
স্বজাতির উপর এমন নির্মম অত্যাচার কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। পাড়াবাসীদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি করে রাখছে। সেনাবাহিনী তথা প্রশাসনের কোন যানবাহন যেন সহজে তাদের লুকিয়ে থাকা অবস্থানে পৌঁছাতে না পারে এবং পাড়াবাসিরা যেন আতঙ্কে তাদের অন্যায় অত্যাচার নিরবে সহ্য করতে পারে এই উদ্দেশ্যে এই নরকীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে কুকি চীন।।
শুধু আজ নয় ইতিপূর্বেও নির্মমভাবে অমানবিক অত্যাচার নির্যাতন করেছে এই কুকি চিন বাহিনী। বান্দরবানের সকল জাতির মানুষেরা এই অত্যাচার নিপীড়ন থেকে মুক্তি চাই।প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আপনারা অতিসত্বর এই নিরীহ মানুষদের স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।